স্বাস্থ্য ব্যয় কমাতে অত্যাবশ্যকীয় ডায়াগনস্টিক পরীক্ষার তালিকা ও মূল্য নির্ধারণ করার সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে সরকার। এ লক্ষ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) কারিগরি সহায়তা চেয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার শহীদ আবু সাঈদ আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে) অধ্যাপক মো. সায়েদুর রহমান এ কথা জানিয়েছেন।
সায়েদুর রহমান জানান, স্বাস্থ্য সেবা পেতে দেশের মানুষ যে অর্থ ব্যয় করে তার প্রায় ৬৪ থেকে ৬৭ শতাংশ খরচ হয় ওষুধ কিনতে এবং ১১ থেকে ১২ শতাংশ ব্যয় হয় বিভিন্ন ধরনের ডায়াগনস্টিক পরীক্ষায়। এতে অনেক পরিবার দারিদ্র্যের দিকে চলে যায়। মানুষের ওপর থেকে চাপ কমাতে তাই সরকারকে এই দুটি খাতে হস্তক্ষেপ করতে হবে, যোগ করেন তিনি।
তিনি আরও জানান, অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের তালিকা প্রণয়ন এবং এর দাম নির্ধারণে একটি প্রক্রিয়া তৈরি করতে সরকার ইতোমধ্যেই একটি টাস্কফোর্স গঠন করেছে।
সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অত্যাবশ্যকীয় ডায়াগনস্টিক পরীক্ষার তালিকা তৈরির প্রস্তাব দেয় এবং আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের কারিগরি সহায়তা চায়।
'প্রথমে আমরা অত্যাবশ্যকীয় ওষুধ, এরপর অত্যাবশ্যকীয় ডায়াগনস্টিক পরীক্ষার তালিকা তৈরি করব। তারপর দাম নির্ধারণ করব' জানিয়ে তিনি বলেন, দুই বা তিনটি শ্রেণিতে দাম নির্ধারণ করা হতে পারে।