২০১৭ সালে প্রথম বিয়ে। এরপর থেকে শুরু হয় প্রকৃত নাম ঠিকানা গোপন করা। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্য পরিচয়ে ভূয়া আইডি কার্ড দেখিয়ে প্রথম প্রতারণা শুরু। স্থানীয় ঘটক আমিরুল ইসলামের মারফত জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবির সাতিনালী গ্রামের আব্দুর রউফের ছেলে সাজ্জাদুর রহমান সোহেলের মেয়ের সঙ্গে পাঁচ লাখ টাকা কাবিনে বিয়ে করেন ওই প্রতারক ভূয়া সেনা সদস্য।
জামাই সেজে তিনদিন শশুর বাড়িতে থেকে ছুটি শেষ সেনা ক্যাম্পে ফিরার বাহানায় নগদ ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা নিয়ে উধাও হয় তারা। পরে ওই ঠিকানায় খোঁজ নিয়ে তাকে আর পাওয়া যায় না।
সর্বশেষ জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে ৩৭তম বিয়ের পাত্রি দেখতে এসে ধরা খায় দুই প্রতারক। গণধোলাই দিয়ে পুলিশে দেয় জনতা। বৃহস্পতিবার বেলা ২ টায় উপজেলার পাঠান পড়া বাজারে এঘটনা ঘটে।
আটককৃত ওই ভূয়া সেনা সদস্য হলেন, গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার হরিনাথপুর বিষপুকুর গ্রামের মনতাজ উদ্দিন এর ছেলে সদরুল ইসলাম (৪১) ও তার সহযোগী একয় গ্রামের জালাল উদ্দীনের ছেলে আঃ রহিম(৫৫)।
গত বুধবার ক্ষেতলাল উপজেলার হোপ গ্রামের আফজাল হোসেনের মেয়ের সঙ্গে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে আসেন ওই ভূয়া সেনা সদস্য ও তার এক সহযোগী। এবং তাদের সেনা সদস্যের পরিচয় পত্র ও আইডি কার্ড দিয়ে যায়। বিষয়টি ওই আমিনুর ঘটক জানতে পেয়ে তার আইডি কার্ডে ছবি দেখে তাকে চিনতে পারে।
এরপর (২৪ জুলাই) বৃহস্পতিবার ওই ভূয়া সেনা সদস্য তার এক সহযোগীকে নিয়ে বিয়ের খবর নিতে পাঠান পাড়া বাজারে আসে। ঘটক আমিরুর ও মেয়ের বাবা ওই দুই প্রতারকের ঘটনাটি বাজারের স্থানীয় লোকজনদের জানালে তাদের আটক করে গণধোলাই দিলে তারা সত্যতা স্বীকার করে এবং বলেন দেশের বিভিন্ন যায়গায় এভাবে ৩৬ টি বিয়ে করেছেন। পরে ক্ষেতলাল থানা পুলিশ খবর পেয়ে তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
এ বিষয়ে ক্ষেতলাল থানার ওসি (তদন্ত) কামাল হোসেন বলেন, সেনা সদস্য পরিচয়ে দুই ব্যক্তি বিয়ের পাত্রি দেখতে আসলে স্থানীয় জনগণের সন্দেহ হলে তারা থানায় খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।