যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের মর্মান্তিক ঘটনায় শোকে কাতর পুরো দেশের স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস। এতগুলো কোমলমতি শিশুর প্রাণ অকালে ঝরে যাওয়া মানা যায় না। পুরো দেশের মানুষ যেন শোকে স্তব্ধ। স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা আকাশে উড়োজাহাজ দেখলে ভয় পাচ্ছে। অজানা আতঙ্কে বুক কেঁপে ওঠছে
উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় এখন পর্যন্ত যারা হতাহত হয়েছে তাদের বেশিরভাগই ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী। ওইদিন স্কুল ছুটির পরপরই ভয়াবহ এ দুর্ঘটনা ঘটে। যেখানে জীবন থেকেই ছুটি নিয়ে অনন্তযাত্রায় শামিল হয় অনেক বাবা-মায়ের বুকের প্রাণপাখিরা।
মাইলস্টোন স্কুলের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী সিফাত। ভয়াবহ এ দুর্ঘটনা থেকে নিজে বেঁচে গেলেও সে-ও হারিয়েছে অনেক চেনা মুখ। কথা বলতে বলতে বারবার মাথা নিচু করে রাখা সিফাত যেন নিজেকেই সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষা খুঁজছিল।
মাইলস্টোন কলেজে ‘এফ-৭ বিজিআই’ মডেলের যুদ্ধবিমানটি যখন আছড়ে পড়ে তখন স্কুল শাখায় প্রথম থেকে সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত অতিরিক্ত ক্লাস চলছিল। হঠাৎ বিকট শব্দে বিমানটি ভেঙে পড়লে শিক্ষক-শিক্ষার্থী আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
ওইদিন স্কুল ছুটির মাত্র মিনিট দশেক পরই বিমানটি স্কুল ভবনে বিধ্বস্ত হয়। অনেক শিক্ষার্থী স্কুল ছুটির পর অভিভাবকের জন্য অপেক্ষা করছিল। কেউ কেউ স্কুল ছুটির পর সেখানে অতিরিক্ত ক্লাসে ঢুকে পড়ে। বিকট শব্দ শুনে আশপাশের অনেকে স্কুলের দিকে ছুটে যান। অভিভাবকদের অনেকে তখন বাচ্চাকে স্কুল থেকে আনতে যাচ্ছিলেন। তাদের কেউ কেউ শব্দ শুনেই বুঝতে পারেন, তার বুকের মানিক হয়তো আর বেঁচে নেই।