ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় একজন মারা গেছেন। এ সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪২০ জন। চলতি বছর এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মারা গেছেন ৫৬ জন আর আক্রান্ত হয়েছেন ১৪ হাজার ৮৮০ জন। রোববার (১৩ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত ঢাকায় আক্রান্ত ৪ হাজার ৬৫৯ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ২৯ জনের। এর মধ্যে ৩ হাজার ১১৩ জন রোগী ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায়। বাকিরা সিটি করপোরেশন এলাকার বাইরের। এছাড়া অন্যান্য জেলার মধ্যে চাপাইনবাবগঞ্জে আক্রান্ত ৫৩৮, তবে মৃত্যু শূন্য। কুমিল্লায় আক্রান্ত ৪৮১ জন, মৃত্যু হয়েছে দুই জনের। গাজীপুরে আক্রান্ত ৩৩৮ জন, মৃত্যু শূন্য, চাদঁপুরে আক্রান্ত ২৮৪, কারও মৃত্যু হয়নি। কক্সবাজারে আক্রান্ত ৩৫৪, মৃত্যু শূন্য। চট্টগ্রামে আক্রান্ত ৫৫৩, মৃত্যু হয়েছে দুই জনের। বরগুনায় আক্রান্ত ৩ হাজার ৬৫৩ জন, মৃত্যু ৬ জনের। বরিশালে আক্রান্ত ১ হাজার ২২৮, মৃত্যু ৮ জনের। পটুয়াখালীতে আক্রান্ত ৭৮৩, মৃত্যু হয়েছে একজনের।
কীটতত্ত্ববিদ ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কবিরুল বাশার বলেন, ‘আমাদের গবেষণা ফোরকাস্টিং মডেল অনুযায়ী, আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে বরগুনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, কক্সবাজার, গাজীপুর, পিরোজপুর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, চাঁদপুর ও মাদারীপুরে ডেঙ্গু ব্যাপক হারে বিস্তার লাভ করতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘গড়ে প্রতিদিন প্রায় ২০০ জন নতুন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। বাস্তব চিত্র আরও ভয়াবহ, কারণ অনেকেই বাসায় বা অনিবন্ধিত ক্লিনিকে চিকিৎসা নিচ্ছেন, যাদের তথ্য সরকারিভাবে নথিভুক্ত হয় না। এই পরিসংখ্যানগুলো এক গভীর সংকটের দিকেই ইঙ্গিত করছে, পরিস্থিতি যদি এখনই সমাধানে না আনা যায়, তাহলে আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে।’
চলতি বছরে এ পর্যন্ত ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৪ হাজার ৪৬০ জন। ২০২৪ সালের একই সময়ে রোগী ছিল ৪ হাজার ৩১১ জন। অর্থাৎ ২০২৪ সালের তুলনা এবার ডেঙ্গুর প্রকোপ প্রায় সাড়ে তিন গুণ।