দেশের সর্ববৃহৎ বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ২ লাখ ৮২ হাজার মে: টন পণ্য আমদানি কমেছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে পণ্য আমদানি করা হয়েছিল ২০ লাখ ৩ হাজার ৬৭০ মেট্রিক টন। আর গেল ২০২৩-২৪ অর্থবছরে আমদানি হয়েছে ১৭ লাখ ২১ হাজার ৪৪১ মেট্রিক টন। গত বছরের তুলনায় গেল বছরে পণ্য আমদানি কমেছে ২ লাখ ৮২ হাজার ২২৯ মেট্রিক টন।
কাস্টম কর্তৃপক্ষ বলছেন, ছাত্র আন্দোলন ও বর্তমান ডলার সংকটের কারণে খাদ্যপণ্য ছাড়া অন্য পণ্য আমদানিতে ব্যাংক এলসি খুলছে না। ফলে বড় ধরনের ধ্বস নেমেছে আমদানি বানিজ্যে।
বেনাপোল কাস্টমস হাউস বলছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে বেনাপোল বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি করা হয়েছিল ২০ লাখ ৩ হাজার ৬৭০ মেট্রিক টন। গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে আমদানি হয়েছে মাত্র ১৭ লাখ ২১ হাজার ৪৪১ মেট্রিক টন। আমদানি কমেছে ২ লাখ ৮২ হাজার ২২৯ মেট্রিক টন।
বেনাপোল কাস্টমস এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সহ সভাপতি কামাল উদ্দিন শিমুল বলেন, ভারত থেকে অতিদ্রুত পন্য আমদানিতে বেনাপোল বন্দরকেই ব্যবহার করতে চায় দুই দেশের ব্যবসায়ীরা। বর্তমানে ডলার সংকটের কারণে সরকার এলসিতে শতভাগ মার্জিন শর্ত দেয়। তারপরও ব্যাংকগুলো এলসি খুলছে না। যেকারণে গেল অর্থবছরে আমদানি কমে গেছে।
ইন্ডিয়া বাংলাদেশ চেম্বার অব কামর্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের ডাইরেক্টর মতিয়ার রহমান জানান ব্যাংক এলসি খুলতে না পারায় ব্যবসায়ীরা পণ্য আমদানি করতে পারছেন না। ফলে পণ্য আমদানি কমেছে। সম্প্রতি ব্যাংকগুলো সুদহার অনেক বাড়িয়েছে। এতে আমদানিকারকরা ঋণ নিয়ে ব্যবসায় পরিচালনা করতে পারছে না তবে আশা করছি চলতি বছর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে।
যশোর চেম্বার অব কমার্সের সাবেক সভাপতি মিজানুর রহমান খান নাম জানান, বেনাপোল কাস্টমস কর্তৃপক্ষ জোর করে মূল্য বৃদ্ধি করা, এক পন্যের মূল্য, অন্য পন্যের ওপর চাপিয়ে দেওয়া, উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের আমদানি করা কেমিকেল জাতীয় পন্য বারবার টেস্ট করার কারণে এই বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি কমে গেছে।
গত কয়েক বছর ধরে ব্যাংকগুলো এলসি খুলছেনা। এতে আমদানির সাথে জড়িত হাজার হাজার ব্যবসায়ী অর্থনৈতিকভাবে দুরবস্থায় রয়েছেন।
বেনাপোল কাস্টমস হাউজের যুগ্ম কমিশনার সাফায়েত হোসেন বলেন, ডলার সংকটে ব্যাংক গুলো এলসি খুলতে পারছেন না। ফলে ব্যবসায়ীরাও আমদানি করতে পারছে না। ফলে গেল অর্থবছর পণ্য আমদানি কমে গেছে।