নিরাপদ সড়ক সহ বিভিন্ন দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের রেশ না কাটতেই সোমবার রাতে বাস চাপায় আরেক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (২৯ নভেম্বর) রাত ১১টার পর রামপুরা বাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থলে জড়ো হয়ে বাসে আগুন দেন বিক্ষুব্ধরা। পরে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদর দপ্তরের কন্ট্রোল রুমের অপারেটর জিয়াউর রহমান বলেন, বাসচাপায় ছাত্র নিহতের ঘটনায় অন্তত সাত থেকে আটটি বাসে আগুন দেওয়া হয়। এ ঘটনায় ৯৯৯ থেকে ফোন পেয়ে প্রথমে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ও পরে আরও একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
নিহত মাইনুদ্দিন স্থানীয় একরামুন্নেসা স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। মাইনুদ্দিনের বন্ধু মারুফ ইসলাম জানান, রামপুরা টিভি রোডের সামনের রাস্তা পারাপারের সময় একটি দ্রুতগামী বাসের চাপায় ঘটনাস্থলেই মাইনুদ্দিন মারা যায়। এ সময় মাইনুদ্দিনের সঙ্গে তার দুলাভাই সাদ্দাম ছিলেন। তিনি আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এলাকাবাসী বিচার চেয়ে দফায় দফায় মিছিল করেছে। মাইনুদ্দিন পরিবারের সঙ্গে পূর্ব রামপুরা তিতাস রোড এলাকায় থাকতো। তার বাবার নাম আব্দুর রহিম।
এদিকে রামপুরা এলাকায় বাসচাপায় মাইনুদ্দিন ইসলাম নামের এক শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় ওই বাসের চালককে আটক করেছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে চালকের নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় ওই বাসটি জব্দ করা হয়েছে।
সোমবার (৩০ নভেম্বর) রাতে দুর্ঘটনাস্থল থেকে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান ডিএমপির মতিঝিল বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. আ. আহাদ।
তিনি বলেন, ঘটনার পর চালক পালিয়ে যাচ্ছিলেন। পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে তাকে আটক করে। তিনি বর্তমানে থানায় আছেন। বাসটিও জব্দ করা হয়েছে।
এই ঘটনার জেরে ৮টি বাসে আগুন দেওয়ার বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডিসি বলেন, আমরা যতদূর জানি উত্তেজিত জনতা এসব আগুন ধরিয়েছে। তবে কোনো সুযোগসন্ধানী কেউ দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বাসে আগুন দিয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখবে পুলিশ।
মতিঝিল বিভাগের উপ-কমিশনার আরও বলেন, আমরা নিহতের ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি বলেছেন তারা ভাঙচুর বা আগুন দেননি। অন্য কেউ এসে এসব করেছে। এ ধরনের ঘটনা কাম্য নয়।