গুলশান-বানানী, মতিঝিল কিংবা মিরপুর যে এলাকাই হোক না কেনো ৬ তলার ওপর ভবন নির্মাণ পারবেন না কেউ। ৫ কাঠা জমির ওপর কেবল ৫ তলার অনুমতি মিলবে। সম্প্রতি এমন বিধান জারি করছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-রাজউক।
রাজধানীতে জনসংখ্যার চাপ কমাতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি। তবে এ সিদ্ধান্তে রড-সিমেন্ট-টাইলসসহ পুরো আবাসান খাত মারাত্নক ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে সংশ্লিষ্টরা আশঙ্কা করছেন।
এদিকে, রাজউকের আওতাধীন ১৫২৮ বর্গ কিলোমিটারের এ মহানগীরতে আবাসিক-বাণিজ্যিকসহ সবমিলিয়ে ভবন রয়েছে ২১ লাখের কিছু বেশি। ২০৩৫ সাল পর্যন্ত প্রস্তাবিত ডিটেলড এরিয়া প্ল্যান-ড্যাপ ড্যাপের পরিসংখ্যানেই বলা হয়েছে, এখানে মোট স্থাপনার ৮৪ শতাংশই একতলা। একতলা থেকে তিন তলা পর্যন্ত রয়েছে ৯৩ শতাংশ।
অন্যদিকে, ৬ থেকে ৮ তলা উচ্চতা বিশিষ্ট ভবন আছে মাত্র দশমিক ৬৭ শতাংশ এবং ৮ তলার ওপরে ভবন রয়েছে মাত্র দশমিক ১৬ শতাংশ।
প্রস্তাবিত ড্যাপে মিরপুরে ৪-৭ তলা, মোহাম্মদপুর ও লাল মাটিয়ায় ৫-৮ তলা, খিলখেত, কুড়িল, নিকুঞ্জ এলাকায় ৬ তলা, উত্তরায় ৭-৮ তলা, গুলশান, বনানী ও বারিধারায় ৬-৮ তলা এবং ঢাকায় ৬ তলা আবাসিক ভবনের সর্বোচ্চ উচ্চতা নির্ধারণ করা হয়েছে।
রাজউক জরিপ বলছে, রাজধানীর ৯৯ শতাংশের বেশি ভবন আট তলার নিচে। আর আবাসিক ভবনের মধ্যে ৯৯ দশমিক ৯৯ শতাংশ ভবনই আটতলার নিচে।
গুলশান-বনানী এলাকায় সর্বোচ্চ সংখ্যক বহুতল ভবন থাকলেও মোট সংখ্যার তুলনায় অনেক কম। ৮ হাজার ৩৩৯টি ভবনের মধ্যে আটতলা আছে ৬৪টি, ৯ তলা ৭৪টি। ১৬ ও ২২ তলা আছে ২টি করে।