বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার রায় আজ রোববার ঘোষণা করা হয়নি। রায় ঘোষণার নতুন তারিখ ৮ ডিসেম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে।
ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান রায় ঘোষণার নতুন এই তারিখ ধার্য করেন।
এর আগে গত ১৪ নভেম্বর উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিন (২৮ নভেম্বর) ধার্য করেছিলেন আদালত। কিন্তু আজ আদালত রায় ঘোষণা মুলতবি করে ৮ ডিসেম্বর নতুন তারিখ দেন। দুপুর ১২টা ১০ মিনিটের দিকে আদালতে আসেন বিচারক। এরপর বিচারক বলেন, ‘আজ রায় হচ্ছে না। আগামী ৮ ডিসেম্বর রায় ঘোষণা করা হবে।’
এদিকে রায় ঘোষণা উপলক্ষে আজ সকাল সাড়ে নয়টার দিকে কারাগারে থাকা ২২ আসামিকে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের হাজতখানায় আনা হয়। বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে আসামিদের হাজতখানা থেকে আদালতের এজলাসে নেওয়া হয়। এসময় আদালত প্রাঙ্গণে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে আইনশৃংখলাবাহিনী।
সূত্রমতে, ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হলের দ্বিতীয় তলার সিঁড়ি থেকে অচেতন অবস্থায় আবরারকে উদ্ধার করা হয়। পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। পরের দিন ৭ অক্টোবর চকবাজার থানায় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ হত্যা মামলা করেন।
ওই বছরের ১৩ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক ওয়াহিদুজ্জামান আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। অভিযোগপত্রে ২৫ আসামিকে অভিযুক্ত করেন। গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর ২৫ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচারের আদেশ দেন আদালত। ৫ অক্টোবর আবরারের বাবার সাক্ষ্য নেওয়ার মাধ্যমে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। এ বছরের ৪ মার্চ সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। মোট ৬০ জন সাক্ষীর মধ্যে ৪৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত। গত ১৪ নভেম্বর যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত রায়ের দিন ধার্য করেন।
আসামিদের মধ্যে ২২ জন কারাগারে রয়েছেন। পলাতক তিনজন। কারাগারে থাকা ২২ জন হলেন মেহেদী হাসান রাসেল, মুহতাসিম ফুয়াদ হোসেন, মো. অনিক সরকার, মেহেদী হাসান রবিন, ইফতি মোশাররফ সকাল, মো. মনিরুজ্জামান মনির, মো. মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, মো. মাজেদুর রহমান মাজেদ, মো. মুজাহিদুর রহমান, খন্দকার তাবাককারুল ইসলাম তানভীর, হোসাইন মোহাম্মদ তোহা, মো. আকাশ হোসেন, মো. শামীম বিল্লাহ, এ এস এম নাজমুস সাদাত, মোর্শেদ অমর্ত্য ইসলাম, মুয়াজ আবু হুরায়রা, মুনতাসির আল জেমি, অমিত সাহা, ইশতিয়াক আহমেদ মুন্না, মো. শামসুল আরেফিন রাফাত, মো. মিজানুর রহমান ও এস এম মাহমুদ সেতু।
পলাতক তিন আসামি হলেন মোর্শেদ-উজ-জামান মণ্ডল জিসান, এহতেশামুল রাব্বি তানিম ও মুজতবা রাফিদ।