দীর্ঘ ১০ দিন চরম ভোগান্তির পর খুলে দেওয়া হয়েছে টঙ্গী ব্রিজ। দ্রুততার সঙ্গে ব্রিজটির ঝুঁকিপূর্ণ অংশের সংস্কার কাজ শেষে শনিবার রাতেই সেটি খুলে দেওয়া হলেও রোববার সকাল থেকেই যান চলাচল শুরু হয়। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের গুরুত্¦পূর্ণ এই ব্রিজটি চালু হওয়ায় ওই রুটে যাতায়াতকারী যানবাহন সংশ্লিষ্টদের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
ব্রিজ চালুর বিষয়টি নিশ্চিত করে সেতু বিভাগের সচিব মো. আবু বকর ছিদ্দীক জাগো কণ্ঠকে বলেন, শনিবার রাত থেকেই টঙ্গী ব্রিজ চালু করা হয়েছে। অতি দ্রততার সঙ্গে কাজ করে সাত দিনের মধ্যেই এই ব্রিজ চালু করা হয়েছে।
তিনি জানান, ১০ নভেম্বর ঘটনা ঘটার পরদিন আমরা সেখানে গিয়ে সবকিছু পর্যবেক্ষণ করি। ১২-১৩ তারিখে ব্রিজ সংস্কারের কাজ শুরু করা হয়। গত বুুধবার সেখানে ঢালাই দেওয়া হয়। গতকাল শনিবার রাতেই সেটি যানচলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে। অতি দ্রুততার সাথে কাজ করায় মাত্র ৭দিন লেগেছে কাজটি শেষ হতে। ব্রিজের মাঝে গর্ত হয়ে যাওয়ায় যানচলাচল বিঘ্ন হয়েছিল বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
জানা গেছে, গত ৯ নভেম্বর রাত তিনটার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের টঙ্গীর তুরাগ নদীর ওপর টঙ্গী সেতুর পুরনো স্ল্যাব ড্যামেজ থাকায় হঠাৎ স্ল্যাবের কিছু অংশ ভেঙে পড়ে। এতে ওই পথে সকল প্রকার যানবাহন চলাচল ধীরগতি এবং দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়ে জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করে। ভাঙ্গা অংশ মেরামত করে যানচলাচল শুরু হলেও একপর্যায়ে ঝুঁকি বিবেচনায় তা পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়। সর্বশেষ মেরামত কাজ পুরোপুরি শেষ করে শনিবার রাতে তা যানচলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়।
ব্রিজটি চালু হওয়ার বিষয়ে বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের সেতু বিভাগের প্রকল্প পরিচালক মহিরুল ইসলাম জানান, শনিবার রাতে সেতুটি মেরামত শেষে ট্রাফিক বিভাগকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিবেচনা করে তা উন্মুক্ত করা হয়নি। রোববার দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ও গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে সঙ্গে নিয়ে ব্রিজটি খুলে দেওয়া হয়েছে।