ঢাকা চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে (সিএমএম কোর্ট) শিগগিরই ১০ জন নতুন বিচারক নিয়োগ হচ্ছে। মামলা জট কমানো এবং বিচারপ্রার্থীদের ভোগান্তি দূর করতেই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিম চৌধুরী। আজ বুধবার গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।
রেজাউল করিম চৌধুরী জানান, দীর্ঘদিন যাবৎ ঢাকা সিএমএম কোর্টে মামলার আধিক্য রয়েছে। ম্যাজিস্ট্রেট স্বল্পতার কারণে এসব মামলা সঠিক সময়ে নিষ্পত্তি করা সম্ভব হতো না। কিন্তু এখন নতুন ১০ জন বিচারক নিয়োগ হলে এ সমস্যা আর থাকবে না। মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি হবে।
তিনি বলেন, ঢাকা সিএমএম কোর্টে ডেসকোসহ ৫০টি কোর্ট আছে। এরমধ্যে মাত্র ১৫জন বিচারক কর্মরত আছেন। সিএমএম অভ্যন্তরেই আছে ৩৫টি কোর্ট। আর অফিসের বাইরে ডেসকো, ডেসাসহ অন্যান্য স্থানে আরও ১৫টি কোর্ট আছে।
রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ঢাকা মহানগর চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে যোগদানের পর থেকে তিনি অনেকগুলো পদক্ষেপ নিয়েছেন। এই কোর্টে আসা কোন সাক্ষী যাতে ফেরত না যায় সেজন্য বিচারকদের বলেছেন যে, যেকোনভাবেই হোক সাক্ষী এলে তাদের সাক্ষ্য নিয়ে নিতে হবে। এছাড়া কোর্টের প্রসেস সার্ভেয়ার সেকশনকে আরও গতিশীল করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, নকল খানায় প্রতিবছর ২০ হাজার ফোলিও লাগে। সেখানেও লোকজন সংকট আছে। এসংকটের সমাধান করার পদক্ষেপ নিচ্ছেন তিনি।
রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, চলতি বছরের গত অক্টোবর পর্যন্ত ঢাকা সিএমএম কোর্টে মামলার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ২৭ হাজার ৭৮৯টি। গত মাসে নতুন মামলার সংখ্যা ১৩ হাজার ৬৬২টি। এভাবে প্রতিমাসে ১২/১৫ হাজার মামলা এন্ট্রি হয়। এরমধ্যে মাদকের মামলাও অনেক বেশি থাকে। এভাবে লাখ লাখ মামলা নিষ্পত্তি ১৫ জন বিচারকের পক্ষে সম্ভব হয় না। এমন পরিস্থিতিতেই নতুন করে আরও ১০জন বিচারক নিয়োগ হলে মামলা নিষ্পত্তির গতি আরও বাড়বে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের জুনে ঢাকা মহানগর চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নিয়োগ পান রেজাউল করিম চৌধুরী। এর আগে তিনি কক্সবাজারের চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।#