যুবদল নেতা শামীম হত্যা মামলায় এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান গ্রেপ্তার ও রিমান্ডে যাওয়ার ঘটনায় সন্তোষ প্রকাশ করে তীব্র ঘৃণামূলক স্ট্যাটাস দিয়েছে সাংবাদিক হেলাল উদ্দিন। তিনি লিখেছেন-
হায়রে নজিবুর?? কোথায় গেল তোমার দম্ভ ও অহংকার? ক্ষমতার অপব্যবহার ও প্রতিহিংসার চরিতার্থে কত মানুষের ক্ষতি করেছো তুমি?
আমাকে তুমি মিথ্যা মামলা দিয়ে অন্যায় ভাবে জেলে পাঠিয়ে ছিলে। কত মামলা, কত হয়রানি? যুগান্তর থেকে চাকরিচ্যুতি। গুম অপহরণ করার অপচেষ্টা। শুধু আমি নই তোমার অন্যায় প্রতিহিংসার শিকার হয়ে যমুনা গ্রুপ আজও ক্ষতিগ্রস্ত।
আমাকে জেলে পাঠিয়ে হাতকড়া ডান্ডাবেড়ি পরাতে চেয়েছিলে। কিন্তু ব্যর্থ হয়েছিলে। ক্ষমতা খাটিয়ে কেরানিগঞ্জ জেল থেকে পাঁচ দিনের মাথায় কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগারে পাঠিয়েছিলে। যেখানে শুধু ফাঁসির আসামি, দুর্ধর্ষ আসামিরা থাকে। কি অপরাধ ছিল আমার?
একজন সাংবাদিক হিসেবে সততার সাথে পেশাগত দায়িত্ব পালন করাই ছিল আমার অপরাধ।
অথচ ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস। তোমার হাতে আজ হাতকড়া। কুখ্যাত সন্ত্রাসীর মত আদালতে হাজির। তোমার উপর আজ পচা ডিম জুতা নিক্ষেপ করা হয়। ঘৃণা প্রকাশ করা হয়।
কোথায় গেল তোমার সেই অহংকার আত্মসম্মানবোধ? তখন কেমন ছিল তোমার মানসিক অবস্থা? দুনিয়াতে এমন পাপের শাস্তি?
সামনের দিনগুলি হবে দুঃসহ। হাতকড়া পরে হত্যা মামলার আসামি হিসেবে বারবার নিম্ন আদালতে হাজিরা দিতে হবে। হাজতখানায় থাকতে হবে।
হায়রে মহা ক্ষমতাধর সিনিয়র সচিব নজিবুর রহমান। আগামী দিনের এমন অপমান সহ্য করবে কিভাবে?
আল্লাহ তোমাকে ধৈর্য শক্তি দিক। মহান আল্লাহতালা সব সময় ন্যায় বিচার করেন।
উল্লেখ্য, সাবেক এনবিআর চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমানকে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। গত বছরের ২৮ অক্টোবর পল্টনে যুবদল নেতা শামীম মিয়াকে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় সোমবার তাকে আদালতে হাজির করা হলে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুল হক এ আদেশ দেন।
এ বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর নিহতের বাবা মো. ইউনুস মিয়া বাদী হয়ে পল্টন থানায় আওয়ামী লীগের শীর্ষনেতা ও বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তাসহ ৭০৪ জনের বিরুদ্ধে এবং অজ্ঞাতনামা ১২ হাজার জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।
সোমবার ভোরে রমনা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় নজিবুর রহমানকে।