শিরোনাম
  • পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে বিএনপির লজ্জা পাওয়া উচিত: কাদের বৃত্তি পেল সেরা ১৫ জন স্কুল ক্রিকেটার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলছে আজ, অ্যাসেম্বলি বন্ধ থাকবে সবার চাওয়া সুষ্ঠু ও পক্ষপাতহীন উপজেলা নির্বাচন: ইসি আহসান হাবিব  তরুণদের উদ্ভাবনী জ্ঞান ও বিজ্ঞানমনস্ক চিন্তাকে কাজে লাগাতে হবে : স্পিকার ক্ষমতার জন্য বিএনপি বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করছে :  কাদের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনায় নতুন নির্দেশনা জলবায়ু অভিযোজনে সহায়তা দ্বিগুনের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী  বাংলাদেশের চিকিৎসা খাতে থাই বিনিয়োগ চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ঢাকা ও ব্যাংককের পাঁচটি দ্বিপাক্ষিক নথি স্বাক্ষর
  • কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরীর জন্মদিনে বিভিন্ন মহলের শুভেচ্ছা

    নিজস্ব প্রতিবেদক

    ২৯ জানুয়ারী, ২০২৪ ১১:৪৭ পূর্বাহ্ন

    কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরীর জন্মদিনে বিভিন্ন মহলের শুভেচ্ছা

    প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরীর জন্মদিন ছিল ২৮ জানুয়ারি। এ দিন বিভিন্ন মহলের শুভেচ্ছায় সিক্ত হয়েছেন তিনি।

    ড. কামাল চৌধুরী (জন্ম: ২৮ জানুয়ারি, ১৯৫৭ খ্রিস্টাব্দ) (পুরো নাম: কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী) একজন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব যিনি বর্তমানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি আধুনিক বাঙালি কবি যিনি সত্তর দশকের সঙ্গে চিহ্নিত। চাকরিসূত্রে তিনি বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের একজন কর্মকর্তা ছিলেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব হিসেবে ২০১৭ সালে অবসর গ্রহণ করেন।

    তিনি একজন সুপরিচিত আধুনিক কবি। তাঁর কবিতার প্রধান বিষয়বস্তু প্রেম ও দ্রোহ, সমাজচেতনা তাঁর কাব্যপ্রেরণার অন্যতম সূত্র। তাঁর কবিতার অন্যতম বৈশিষ্ট্য গীতিময়তা। তাঁর অন্যতম কাব্যগ্রন্থ টানাপোড়েনের দিন যাতে তিনি মুক্তছন্দে নতুন এক কাব্যভাষার অনুশীলন করেছেন। বাংলা কবিতায় গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য তাঁকে ২০১২ খ্রিস্টাব্দে বাংলা একাডেমি পুরস্কার প্রদান করা হয়।

    বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উদযাপন জাতীয় কমিটি বাস্তবায়নের প্রধান সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

    জন্ম, শিক্ষা, কর্মজীবন: কামাল চৌধুরীর পুরো নাম 'কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী। ১৯৫৭ খ্রিস্টাব্দের ২৮শে জানুয়ারি কামাল চৌধুরীর জন্ম হয়েছিল কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বিজয় করা গ্রামে। বাবা আহমদ হোসেন চৌধুরী ও মা বেগম তাহেরা হোসেনের ছয় সন্তানের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়। ১৯৭৩ খ্রিস্টাব্দে নারায়ণগঞ্জের গোদনইল হাইস্কুল থেকে মাধ্যমিক (এস. এস. সি) এবং ১৯৭৫ খ্রিস্টাব্দে ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক (এইচ. এস. সি) পাশ করেন। তারপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজবিজ্ঞান অধ্যয়ন করেন এবং ব্যাচেলরস ও মাস্টার্স ডিগ্রি লাভ করেন।

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবন ছিল উন্মাতাল; এখানেই কাব্যলক্ষ্মীর কাছে চিরসমর্পণ; এখানেই রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ, তসলিমা নাসরিন সহ সমসাময়িক কবিদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা; এখানেই কবিতার সঙ্গে চিরকালের গাঁটছড়া; এখানেই নিজেকে কবিতা পথিক হিসেবে চিরচিহ্নিত করা। কবিতা লিখতে লিখতেই এক সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন সমাজবিজ্ঞানে। কিন্তু সেখানেই লেখাপড়ার গণ্ডী শেষ হয়ে যায় নি। ২০০০ খ্রিস্টাব্দে সরকারি চাকরির অবসরেই নৃবিজ্ঞানে পিএইচডি সম্পন্ন করেন। তার পিএইচডি অভিসন্দর্ভের বিষয়বস্তু 'গারো জনগোষ্ঠীর মাতৃসূত্রীয় আবাস প্রথা'।

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় ১৯৮১’র বাংলা একাডেমি বই মেলাকে উপলক্ষ্য করে একদল তরুণ কবি জীবনের প্রথম কাব্যগ্রন্থ প্রকাশের উদ্যোগ নিয়েছিলেন; কামাল চৌধুরী তাদেরই একজন। এ উদ্দেশ্যেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল দ্রাবিড় প্রকাশনী। একুশের বইমেলাতেই বেরিয়েছিল কামাল চৌধুরীর প্রথম কাব্যগ্রন্থ মিছিলের সমান বয়সী যাতে কবিতা ছিল ৪৮টি। কবিতাগুলো ভাষা ও শৈলী বলে দেয় শামসুর রাহমান তাকে প্রবলভাবে অনুপ্রাণিত করেছিল।

    ১৯৮২ খ্রিস্টাব্দে কামাল চৌধুরী বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের একজন সদস্য হিসেবে চাকরি গ্রহণ করেন। বিভিন্ন পদে চাকরির পর ২০১০ খ্রিস্টাব্দে তিনি বাংলাদেশ সরকারের সচিব হিসেবে পদোন্নতি লাভ করেন। তথ্যমন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব থাকা কালে তিনি একই মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব হিসেবে নিযুক্তি লাভ করেন। পরবর্তীকালে কিছু সময়ের জন্য তথ্য সচিবের দায়িত্ব পালন করেন। ২০১০ থেকে ২০১৪ খ্রিস্টাব্দ তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবের দায়িত্ব পালন করেন। অতঃপর মার্চ ২০১৪ থেকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এ সময় তাকে সরকারের সিনিয়র সচিব হিসেবে পদোন্নতি প্রদান করা হয়। ২০১৬-এর শেষ দিকে চাকরি থেকে অবসর গ্রহণের পর তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন।

    ইউনেস্কোতে দায়িত্বপালন: কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী ২০১৩ খ্রিস্টাব্দে ইউনেস্কো নির্বাহী বোর্ডে বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে ‍নিযুক্তি লাভ করেন। এই নিযুক্তি ছিল ২০১৩-২০১৭ মেয়াদের জন্য। অধিকন্তু তিনি এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল থেকে ইউনেস্কো নির্বাহী বোর্ডের ভাইস-চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন ২০১৩-২০১৫ মেয়াদের জন্য। ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দে তিনি ইউনেস্কোর নির্বাহী বোর্ডের কনভেনশনস অ্যান্ড রেকমেনডেশনস (সিআর) কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্তি লাভ করেন। ইউনেস্কোর পাঁচটি সাবসিডিয়ারি কমিটি রয়েছে যার মধ্যে সিআর কমিটির একটি। এর সদস্য রাষ্ট্রের সংখ্যা বর্তমানে তিরিশ। কনভেনশনস অ্যান্ড রেকমেনডেশনস কমিটি বছরে দুইবার সভায় মিলিত হয়ে ইউনেস্কোর শিক্ষা, সংস্কৃতি ও বিজ্ঞান বিষয়ক বিভিন্ন সনদ ও সুপারিশ বাস্তবায়নে বিষয়ে সদস্য রাষ্ট্রগুলো থেকে প্রাপ্ত প্রতিবেদনসমূহ মূল্যায়ন করে। একই সঙ্গে ইউনেস্কোর সদস্য রাষ্ট্রসমূহের মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে। এ কমিটির দায়িত্বের মধ্যে রয়েছে শিক্ষকদের মর্যাদা বিষয়ে আইএলও-ইউনেস্কোর যৌথ বিশেষজ্ঞ কমিটির প্রতিবেদন ম্যূল্যায়ন করা।

    প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা: ১১ জানুয়ারি ২০২৪ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নতুন মন্ত্রিসভা গঠন হলে কামাল আবদুল নাসের চৌধুরীকে মন্ত্রী পদমর্যাদায় প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা পদে নিয়োগ দেওয়া হয়।




    বিবিধ - এর আরো খবর