জেলার শিবগঞ্জ উপজেলায় অগ্নিকান্ড ও বজ্রপাতে ক্ষতিগ্রস্ত ৭৪টি পরিবার দীর্ঘ এক ব বছরেও ত্রাণ ও মন্ত্রণালয় থেকে কোন আর্থিক সহায়তা না পাওয়ায় অসহায় জীবনযাপন করছে বলে জানা গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর বেশীর ভাগই গরীব ও অসহায় হওয়ায় তারা অনেকেই এখনো খোলা আকাশের নীবে বসবানস করছে। ক্ষতিগ্রস্তপবিারগুলোর মধ্যে প্রায় ১০/১২ডঁ নদী ভাঙ্গন কবলিত পাঁকা ইউনিয়নের । তারা একেেতা নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়ে নি:স্ব , তার উপর আবার অগ্নিকান্ডে বাড়িখানা পুড়ে গিয়ে আরো অসহায় হয়ে পড়েছে। পাঁকা ইউনিয়নে ৮নং ওয়ার্ডে গহামের চর গ্রামে গত ২০২২ সালের ২৬ নভেম্বর রাতে এক অগ্নিকাণ্ডে পার্শ্ববর্তী দুটি পরিবারের কয়েকটি ঘর পুড়ে যায়।
ওই অগ্নিকান্ডে একজন ক্ষতিগ্রস্ত শরিফুল ইসলাম বলেন, "নদীর ভাঙনে জমিজমা হারিয়ে আমি টিউশন পড়িয়ে বয়স্ক বাবা-মা ও স্ত্রী-সন্তান নিয়ে কোনরকম দিন কাটায়। হঠাৎ আগুনে আমার পশ্চিম ভিটার ঘর দুটি পুড়ে যায়। কোনরকম করে বাড়ির বেড়া ঘিরেছি। কিন্তু এখনো ঘর করতে পারিনি। ইউপি চেযারম্যানে নিকট আবেদন করেও কোন লাভ হয়নি। লজ্জায় কারো কাছে কিছু চাইতেও পারি না। আরেক জন ক্ষতিগ্রস্ত মো: আসলাম আলী বলেন, পার্শ্ববর্তী বাড়ির চুলার আগুনে আমার দুটি ঘর পুড়ে শেষ। আমি নিজে মিস্ত্রির কাজ করি। কিন্তু ঘর মত জোগাড় করতে পারছিনা। শুনেছি সরকার সহযোগিতা করে। আমরা সারাজীবন আওয়ামী লীগ দল করি। কিন্তু বড দুঃখ, ৬ মাস হয়ে গেলো এখনো ১ টাকারও সহযোগিতা পাইনি।
মনাকষা ইউনিয়নের পারচৌকা গ্রামের মাওলানা আব্দুস সালাম জানান, আমার বাড়ি পুড়া প্রায় এক বছর পার হয়ে গেছে। ইউপি চেয়ারম্যান ও পি আইর কাছে একাধিকবার খোঁজ নিয়েও কোন লাভ হয়নি। শুধু শুনতে হয়েছে সাহায্য আসলেই পাবেন। একই ভাবে বিনোদপুর, দূর্লভপুর, শ্যামপুর,দাইপুখুরিযা মোবারকপুর শিবগঞ্জ পৌরসভা সহ বিভিন্ন ইউনিয়নে গুরে ক্ষতিগ্রস্থ পবিবারগুলোর সাথে আলাপ কওে একই ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এব্যাপারে শিবগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার আরিফুল ইসলাম জানান, গত এক বছরে শিবগঞ্জে বজ্রপাতে তিনজন মার গেছে এবং আগুনে ১৫টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভাতে মোট ৭১টি পরিবার অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এদের সবার তালিকা যথারীতি পাঠানো হয়েছে। চলতি অর্থ বছরে এ ৭৪ টি পরিবারের জন্য সাড়ে তিন লাখ টাকা বরাদ্দ হয়েছে। আশাা করি ঈদের আগেই প্র্রতিটা ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারকে সহায়তা বাবদ টাকা দিতে পারবো।
তিনি আরো বলেন বজ্রপাতে মারা যাওয়া ব্যক্তির পরিবার যদি গরীর হয় তবে তাদের সর্বোচ্চ ২৫হাজার টাকা পেতে পারে। যেমন এ চলতি অর্থ বছরে তিন টি পরিবারকে ৭৫হাজার টাকা দেয়া হবে। বাকী অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ৭১টি পরিবারকে তালিকায় বরাদ্দ অনুয়ায়ী টাকা দেয়া হবে।