দায়িত্বপ্রাপ্ত না হয়েও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষের আইনজীবী পরিচয়ে আদালতে দাঁড়িয়েছিলেন রাজবাড়ীর অ্যাডভোকেট মোঃ আনিছুর রহমান। গত ২৬ এপ্রিলের ঘটনা এটি। এদিন রাজবাড়ী কৃষি ব্যাংকের ৩৪৬ টি ঋণ প্রস্তাবের মাধ্যমে ২ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে দুদকের মামলায় ব্যাংকের ৫ কর্মকর্তা জামিন আবেদন করেন। আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। এ ঘটনায় আদালতপাড়ায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
গতকাল দুদকের পিপি ও রাজবাড়ী বার এসোসিয়েশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট বিজন কুমার বোস জানিয়েছেন, মহামান্য হাইকোর্টের আদেশ অনুযায়ী গত ২৬ এপ্রিল ওই ৫ আসামী আদালতে আত্মসমর্পনকালে ইচ্ছাকৃতভাবে দুদকের পক্ষে পাবলিক প্রসিকিউটরকে অবহিত করেননি। ফলে দুদকপক্ষের আইনজীবী পরিচয়ে দায়িত্ব পালন করেছেন, 'ভুয়া পিপি' অ্যাডভোকেট মোঃ আনিছুর রহমান। তিনি আদালতকে বিভ্রান্ত করায় আসামীদের জামিন হয়ে যায়। এই জামিন বাতিল হওয়া আবশ্যক। এ বিষয়ে লিখিতভাবে আদালতে আবেদন করা হয়েছে। পরবর্তী তারিখে আদেশ প্রদান করবেন আদালত। দুদক পক্ষের আইনজীবী না হয়েও আদালতে দুদকের পক্ষে দাঁড়ানোর কথা স্বীকার করে রাজবাড়ী জেলা জজ আদালতের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোঃ আনিছুর রহমান বলেন, তারা (৫ আসামী) মহামান্য হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়েছিলেন। ২৭ এপ্রিল তারিখ থাকায় তারা আগের দিন ২৬ এপ্রিল জামিন নিয়েছেন। দুদকের আইনজীবী না হয়েও তিনি আদালতে দাঁড়াতে পারেন কিনা - এ ব্যাপারে কোন কথা বলতে চাননি এই আইনজীবী।
এ বিষয়ে মোবাইল ফোনে দুদক সমন্বিত ফরিদপুর জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক রেজাউল করিমকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, আনিছুর রহমান নামে বর্তমানে দুদকের দায়িত্বপ্রাপ্ত কোন আইনজীবী নেই। বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) ওই মামলার পরবর্তী ধার্য তারিখ ছিলো। জামিনপ্রাপ্ত আসামী বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক রাজবাড়ী শাখার সাবেক পরিদর্শক মোঃ রেজাউল হক বলেন, হাইকোর্টের বাধ্যবাধকতার কারনে ধার্য তারিখের আগের দিন জামিন নিতে হয়েছে।