বাণিজ্যমন্ত্রী বীরমুক্তিযোদ্ধা টিপু মুনশি, এমপি বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমরা যুদ্ধ করে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছি। মুক্তিযুদ্ধের শ্লোগান ছিল জয়বাংলা। আমরা জয়বাংলা শ্লোগান ধারন করে মুক্তিযুদ্ধ করেছি, এ শ্লোগান আমাদের মুক্তিযুদ্ধে নিয়ে গেছে। ১৯৭৫ সালে মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত শক্তি যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা চায়নি তারা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে সেই জয়বাংলা শ্লোগানকে একঘন্টার মধ্যে তা বদল করে বাংলাদেশ জিন্দাবাদ করেছিলো, কিন্তু তারা সফল হয়নি। এটা মুক্তিযুদ্ধের উপর আঘাত, এটা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার উপর আঘাত। তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে মেনে নিতে পারেনি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার উপর আঘাত করতে দিবো না। তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংশ করার চেষ্টা চলছে। আমাদের শেষ রক্তবিন্ধু দিয়ে তাদের সে প্রচেষ্টা প্রতিহত করতে হবে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে তারা উদ্দেশ্য সফল করতে পারেনি। আমরা যারা মুক্তিযুদ্ধ করেছি, তাদের বয়স হয়ে গেছে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত রাখতে প্রয়োজনে আবারও মুক্তিযুদ্ধ করবো। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু বঙ্গালী জাতির মুক্তির জন্য সারা জীবন সংগ্রাম করে গেছেন, জীবনের শ্রেষ্ট সময়গুলো জেলে কাটিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর লক্ষ্য ছিল দু’টি। একটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা, অপরটি হলো অর্থনৈতিক মুক্তি। বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন, আজ তাঁরই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমোদের অর্থনৈতিক মুক্তি দিচ্ছেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী মঙ্গলবার ( ২৮ ডিসেম্বর) রংপুরের জেলা স্কুল মাঠে রংপুর জেলা প্রশাসন আয়োজিত বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে রংপুরের সকল বীরমুক্তিযোদ্ধার পুণর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, পাকিস্তানের সাথে যুদ্ধ করে আমরা বাংলাদেশ স্বাধীন করেছি। পাকিস্তান আমাদের সর্বস্ব লুট করে নিয়ে গেছে। আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের বিশ্বয়। পাকিস্তান এখন আমাদের থেকে অনেক পিছিয়ে আছে। আমাদের রিজার্ভ ৪৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি, পাকিস্তানের ২৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। অর্থনীতির সব সূচকে পাকিস্তান বাংলাদেশ থেকে পিছিয়ে আছে।
রংপুরের জেলা প্রশাসক মো. আবির আহসান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- রংপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট ছাফিয়া খানম , রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. মোস্তাফিজুর রহমান, রংপুরের পুলিশ সুপার মো. ফেরদৌস আলী চৌধুরী, রংপুর জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. সাফিউর রহমান সফি, রংপুর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রেজাউল করীম রাজু এবং রংপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি মাহবুব রহমান হাবু।