ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে যাওয়া লঞ্চটির ইঞ্জিনে সমস্যা ছিল বলে জানতে পেরেছেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্যরা। তবে কী ধরনের সমস্যা ছিল, সেটা এখনও প্রকাশ করেননি তারা। তদন্ত প্রতিবেদনে বিস্তারিত জানানো হবে বলে কমিটির সদস্যরা জানিয়েছেন।
অগ্নিকাণ্ডে ৪১ জনের মৃত্যু এবং অনেকের নিখোঁজ থাকার ঘটনায় ঝালকাঠি থানায় গতকাল শনিবার একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। আগুন লাগার পর লঞ্চটি নদীর যে তীরে থামে, সদর উপজেলার পোনাবালিয়া ইউনিয়নের সেই দিয়াকুলের গ্রাম পুলিশ (চৌকিদার) মো. জাহাঙ্গীর হোসেন দুপুরে মামলাটি করেছেন।
ঝালকাঠি থানার ওসি খলিলুর রহমান জানান, মামলাটি তদন্তের জন্য ঝালকাঠি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. নজরুল ইসলামকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে তিনি তদন্তকাজ শুরু করেছেন।

পোড়া লঞ্চে তদন্ত কমিটি
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব তোফায়েল হাসানের নেতৃত্বে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সাত সদস্যের তদন্তদল গতকাল সকাল সাড়ে ১০টায় ঝালকাঠির লঞ্চঘাট এলাকায় এসে পুড়ে যাওয়া লঞ্চটি খতিয়ে দেখে। লঞ্চের ইঞ্জিন রুমসহ বিভিন্ন কক্ষে ঢুকে তদন্ত করছে তারা।
তদন্তদলটির সঙ্গে ছিলেন সাবেক নৌপরিবহনমন্ত্রী মো. শাজাহান খান। তিনি বলেন, ‘ঘটনার বিষয়ে তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন হয়েছে। কমিটি রিপোর্ট দিলে আমরা জানতে পারব দুর্ঘটনার আসল কারণ। যারা এর জন্য দায়ী তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ তিনি বলেন, এটা দুর্ঘটনা, নাকি অন্য কিছু সে ব্যাপারেও খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।
তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক যুগ্ম সচিব তোফায়েল ইসলাম গতকাল দুপুরে ঝালকাঠি লঞ্চঘাটে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা পুড়ে যাওয়া জাহাজ এবং দুটি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ইঞ্জিনের কিছু সমস্যা আমরা পেয়েছি। সেটা কী এবং সেটার সঙ্গে কী কারণে কী হয়েছে তার যোগসূত্র দেখতে হবে।’