দেশের বৃহত্তম ডিজিটাল প্রদর্শনী বেসিস সফটএক্সপো ২০২৩ শেষ হচ্ছে আজ। রাজধানী ঢাকার পূর্বাচলে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্রে চার দিনব্যাপী এই মেলার বর্ণাঢ্য উদ্বোধন করা হয় গত বৃহস্পতিবার।
মেলায় গত তিন দিনে বিশেষ করে ছুটির দিনে সব বয়সী দর্শনার্থীর বেশ ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। মেলায় নানা প্রদর্শনীর পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সেমিনার ও গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
আগত ব্যাপক সংখ্যক দর্শনার্থী অনুষ্ঠানস্থল বিশেষ করে গেমিং জোন, প্রদর্শনী কেন্দ্র, ই-স্পোর্টস জোন, ফুডকোর্ট এবং সম্মেলন স্থল ও বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করতে দেখা যায়। তারা উৎসাহের সাথে প্রদর্শনী কেন্দ্রে উপস্থিত হচ্ছেন।
মেলা ঘুরে দেখা যায়, রেজিস্ট্রেশন বুথে মানুষের ব্যাপক ভিড় সামলাতে পর্যাপ্ত সংখ্যক রেজিস্ট্রেশন বুথ রাখা হয়েছে। অনলাইন কিংবা স্পটে এসে যেকেউ নিবন্ধন করে প্রদর্শনীতে অংশ নিতে পারছেন।
তথ্যপ্রযুক্তি খাতে জাতীয় বাণিজ্য সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) চার দিনব্যাপী এই মেগা শো আয়োজন করেছে। বাংলাদেশের অত্যাধুনিক প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন এবং আইসিটি সক্ষমতা বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে এই প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
এ প্রদর্শনীতে একইসাথে চলছে গেমিং শো, বিভিন্ন ধরণের রোবট, সফটওয়্যারের প্রদর্শনী। পাশাপাশি চলছে নীতিনির্ধারণী সেমিনার, গোলটেবিল বৈঠক ও বিশেষ সম্মেলন। এই প্রদর্শনীতে অসংখ্য রোবট প্রদর্শন করা হয়েছে, যা খুবই রোমাঞ্চকর এবং অন্যতম আকর্ষণীয়। রোবটগুলো কীভাবে কাজ করবে, রোবটগুলো মানুষের কি উপকারে আসবে সেই সম্পর্কে ধারণা পাচ্ছেন দর্শনার্থীরা। প্রদর্শনী হলগুলোতে মানুষ খুবই আকর্ষণের সাথে ঘুরে দেখছে এবং নতুন নতুন বিষয় সম্পর্কে জানছে যা তাদেরকে অনেক কৌতূহলী করে তুলছে।
গেমে অংশগ্রহণ শেষে আরিফুর রহমান জানান, “বেসিস ই-স্পোর্টস চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২৩’ ইভেন্ট হলো আমার জন্য একটি অসাধারণ অভিজ্ঞতা। এই ইভেন্টে বিভিন্ন ধরনের গেম খেলা হচ্ছে। এই ইভেন্টে ভ্যালোরেন্ট, মোবাইল লেজেন্ড ব্যাং ব্যাং থেকে শুরু করে সিএসগো এবং ফিফা গেম এর আয়োজন করা হয়েছে। তার মধ্যে ভ্যালোরেন্ট সব থেকে ভালো লেগেছে, কারণ এই গেমটি বিশ্বব্যাপী খুবই জনপ্রিয়।”