রাজবাড়ীর পদ্মা নদীতে একটি সংঘবদ্ধ চাঁদাবাজ চক্র দীর্ঘদিন ধরে বালুবাহী বাল্কহেড থেকে অবৈধভাবে চাঁদা আদায় সহ বিভিন্ন ধরণের অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে স্থানীয় জনগণ এই চক্রের দুই সদস্যকে চাঁদা আদায়কালে আটক করে পুলিশে দিয়েছে । এসময় স্থানীয় জনতার ধাওয়া খেয়ে তাদের কয়েকজন সহযোগী পালিয়ে গেছে এবং চাঁদাবাজ চক্রের ব্যবহৃত একটি নৌকা আটক করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- রাজবাড়ী সদর উপজেলার রাজারবাড়ী লক্ষীকোল এলাকার সাঈদ হোসেন এবং শ্রীপুর এলাকার আজাদ।
প্রত্যক্ষদর্শী আনোয়ার হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে পদ্মা নদীর রাজবাড়ী সদর উপজেলার সোনাকান্দর স্লুইস গেইট এলাকায় বাল্কহেড থেকে সমিতির নামে বাল্কহেড থেকে জোরপুর্বক চাঁদা আদায়কালে ২জনকে আটক করা হয়। এসময় কয়েকজন পালিয়ে যায়। পরে থানা পুলিশকে খবর দিয়ে আটককৃতদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এরআগে এ ধরণের সংগঠনের নামে কেউ টাকা আদায় করেনি।
বাল্কহেডের সুকানী জয়নাল, সোহান, হানিফ বলেন, বাল্কহেড সমিতির নামে বিভিন্ন ব্যক্তি আমাদের নিকট থেকে ৫শত টাকা, ৪শত টাকা, সাড়ে ৪শত টাকা নেয়। আমরা দিতে অস্বীকার করায় তারা জোরপূর্বক কার্ডের নামে টাকা আদায় করে।
প্রত্যক্ষদর্শী এলাকাবাসী আরও জানায়, চাঁদা আদায়কালে তারা ৫জন ছিল। স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে ৩জন পালিয়ে যায় এবং ২জনকে আটক করা হয়। পরে পুলিশকে খবর দিয়ে তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
আটককৃত সাঈদ হোসেন ও আজাদ বলেন, আমি অসহায় অবস্থায় ছিলাম। আমার একটি কাজ দরকার ছিল। লুৎফর ও লেলিন আমাকে বলে তুই শুরু কর। তাদের কথায় বাল্কহেড থেকে টাকা আদায় করছি। এখন আমাদের স্থানীয়রা আটক করে পুলিশে দিয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, লুৎফর, লেলিন, প্রীতম, দুলাল, দেলোয়ার এর নেতৃত্বে একটি সংঘবদ্ধ চক্র দীর্ঘদিন পদ্মা নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে বালুবাহী বাল্কহেড থেকে অবৈধভাবে চাঁদা আদায় করে চলেছে।
রাজবাড়ী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শাহাদাত হোসেন বলেন, চাঁদাবাজীর ঘটনায় ২ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।