তাড়াইলে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ ও বিভিন্ন রাস্তা পাকাকরণে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব ও কিশোরগঞ্জ-৩ (তাড়াইল-করিমগঞ্জ) আসনের সাংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট মুজিবুল হক চুন্নু।
আজ শুক্রবার ২৭ জানুয়ারি উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে বিকেল ৪ টায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লুবনা শারমিনের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম ভুঁইয়া শাহীন।
অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সাবেক কমান্ডার আবদুল হাই, তাড়াইল থানা ভারপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার রফিকুল ইসলাম, জেলা পরিষদ সদস্য একেএস জামান সম্রাট, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নার্গিস সুলতানা, উপজেলার জাওয়ার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ইমদাদুল হক ভুঁইয়া রতন,তাড়াইল সাচাইল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সাইম দাদ খান নওশাদ, দিগদাইড় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম আসাদ,তাড়াইল উপজেলা আওয়ামিলীগের সাধারণ সম্পাদক গিয়াসউদ্দিন লাকী, সিনিয়র সহ সভাপতি ইসমাইল সিরাজী, ধলা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান মবিন,সাবেক চেয়ারম্যান সৈয়দ সাজেদুর রহমান মিল্টন,রাউতি ইউনিয়ন পরিষদ সাবেক চেয়ারম্যান নুর শরিফউদ্দিন জুয়েল, এবিএম ফরিদুজ্জামান বাদল, সাবেক চেয়ারম্যান, আশিকুর রহমান, দামিহা ইউনিয়ন পরিষদ সাবেক চেয়ারম্যান মনিরুল হক আজহার,তালজাঙ্গা ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সভাপতি মোতাহার উদ্দিন খান মোতাহার সহ সকল ইউনিয়নের জাতীয় পার্টি ও আওয়ামিলীগ নেত্রীবৃন্দ সহ উপজেলার সকল মুক্তিযোদ্ধা, ও সাংবাদিকবৃন্দ।

মুজিবুল হক চুন্নু অনুষ্ঠানে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, বাঙালির মুক্তির সনদ হিসেবে ৬ দফার ভিত্তিতে মানুষ আন্দোলন ও সংগ্রাম করেছে, উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান ও পরে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেই নির্বাচনের পর যখন পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী ক্ষমতা হস্তান্তর করেনি, তারপর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা সংগ্রামের ডাক দিয়েছেন। দীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে। বঙ্গবন্ধু জানতেন কখন কোনটা জাতির সামনে উপস্থাপন করতে হবে।
এ সময় ইতিহাসের দিকে তাকিয়ে মহাসচিব চুুন্নু বলেন, বঙ্গবন্ধু অনেক আগেই স্বাধীনতার পরিকল্পনা করেছিলেন। পাকিস্তান সৃষ্টির পরপরই যখন তিনি অনুভব করলেন এই পাকিস্তান রাষ্ট্র কাঠামোর মধ্যে বাঙালির কোনো দিন মুক্তি আসবে না, তখনই তিনি এই বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরিকল্পনা করেছিলেন।
পরে তিনি ধলা,জাওয়ার,তালজাঙ্গা সহ বিভিন্ন ইউনিয়নের পাকা রাস্তা ভিত্তি প্রস্তোর উদ্বোধন করেন।