বিএনপি কার্যালয়ে অভিযানের নামে পুলিশ তাÐব চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। অভিযানের নামে সেদিন তারা আমাদের অফিসে তাÐব চালিয়েছে, এটা অমানবিক। এখানে কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সে বিষয়ে এখনই বলা যাচ্ছে না। ক্ষয়ক্ষতি ও লুটপাট হওয়া জিনিসপত্রের তালিকা হচ্ছে। বিভিন্ন সংগঠনের নেতাদের তালিকা করতে বলেছি।
রোববার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আসার পর এমরান সালেহ প্রিন্স এসব কথা বলেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, নির্বাহী সদস্য সাত্তার পাটোয়ারীসহ নেতা-কর্মীরা। পরবর্তীতে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এসব বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানান প্রিন্স।
এর আগে চার দিন পর রোববার দুপুর ১টার দিকে আইনজীবীদের সঙ্গে নিয়ে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আসেন প্রিন্স। এর আগে সেখানে জড়ো হন শতাধিক নেতা-কর্মী।
দেড়টার পরে সাংবাদিক, আইনজীবী ও দপ্তরের কিছু নেতাকর্মীকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের তালা খোলেন তিনি।
ছয় তলা ভবনের প্রতিটি তলায় রয়েছে বিএনপিসহ অঙ্গ সংগঠনের অফিস। সেখানে সাংবাদিকদের সঙ্গে নিয়ে গিয়ে দেখান কী অবস্থায় আছে অফিসগুলো।
কার্যালয় খুলে দেয়ার পর বিএনপি নেতা-কর্মীরা কার্যালয়ে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা জিনিসপত্র ও আসবাবপত্র ঠিক করার চেষ্টা করেন।

কার্যালয় খুলে দেয়ার পর দপ্তরের দায়িত্ব পালনকারী বিএনপি নেতা আবদুস সাত্তার বলেন, দপ্তরের চারটি মনিটর এবং জরুরি কাগজপত্র পুলিশ নিয়ে গেছে। অনেক খুঁজলাম, পেলাম না। সারা দেশের দলীয় কর্মীদের যে বায়োডাটা ছিল, সেটিও পুলিশ নিয়ে গেছে। অফিসে কিছু টাকা-পয়সা ছিল। তাও পুলিশ নিয়ে গেছে। দপ্তরের গুরুত্বপূর্ণ নথিসহ দুটি ল্যাপটপও পুলিশ নিয়ে গেছে বলে দাবি করেন তিনি।
আবদুস সাত্তার আরও বলেন, বিএনপি কার্যালয়ে যে সিসি ক্যামেরা ছিল, পুলিশ সব খুলে নিয়ে গেছে। আর পুরো অফিস লÐভÐ করে দিয়ে গেছেন। এটা তো দেখতেই পাচ্ছেন।
এর আগে বেলা ১১টার পর নয়াপল্টনের দুই পাশের রাস্তার ব্যারিকেড তুলে নেয় পুলিশ, যাতে শুরু হয় যান চলাচল। দলীয় কার্যালয় খুলে দেয়ার সংবাদে সকাল থেকেই নয়াপল্টনে ভিড় জমান নেতা-কর্মীরা।
উল্লেখ্য, গত বুধবার নয়াপল্টনে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষের ঘটনার পর থেকে পুলিশ দলটির কার্যালয়ে অভিযান চালায় এবং তালাবদ্ধ করে রাখে। রোববার সকালে তালা খুলে দেয় পুলিশ।