শিরোনাম
  • ফের যে আসন থেকে নির্বাচনের সম্ভাবনা রয়েছে খালেদা জিয়ার আন্তর্জাতিক ফুটবলে যে সমস্যার মুখোমুখি হতে যাচ্ছে ইসরায়েল কে এই নতুন মেসি-ইয়ামাল? ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শনে গিয়ে যা বললেন ড. মুহাম্মদ ইউনুস সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন কাঠামোতে যে নতুন নির্দেশনা দিলেন প্রধান উপদেষ্টা আলুর দাম নিয়ে যে দুঃসংবাদ শোনালেন বাণিজ্য উপদেষ্টা হাইকোর্টের রায়ের স্থগিতাদেশ নিয়ে যা জানালেন আইনজীবী শিশির মনির নির্বাচন নিয়ে নতুন যে বিবৃতি দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার সরকার নির্বাচন নিয়ে চাপ দিলে পদত্যাগ করবো: সিইসি শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচার করলে তাৎক্ষণিক আইনি ব্যবস্থা: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং
  • ২৪ ডিসেম্বর গণমিছিল

    ১০ দফার ভিত্তিতে যুগপৎ আন্দোলনের ঘোষণা বিএনপির

    নিজস্ব প্রতিবেদক

    ১১ ডিসেম্বর, ২০২২ ০৭:২১ পূর্বাহ্ন

    ১০ দফার ভিত্তিতে যুগপৎ আন্দোলনের ঘোষণা বিএনপির

    বর্তমান সরকারের হটানোর ‘যুগপৎ আন্দোলনে’ ১০ দফা ঘোষণা করে এই দাবিতে আগামীতে ২৪ ডিসেম্বর ঢাকাসহ সারাদেশে গণমিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। শনিবার ঢাকার বিভাগীয় গণসমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ১০ দফা ঘোষণা ও কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

    তিনি বলেন, এই ১০ দফা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের দফা। এই দাবি জনগনের দাবি, এটা মানু্ষের দাবি। এই দাবি আদায়ে আমরা প্রথম কর্মসূচি আগামী ২৪ ডিসেম্বর ঢাকাসহ সকল মহানগর ও জেলা সদরে গণমিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করছি।

    আমরা এদেশের সকল জনগনকে এই ১০ দফা দাবির সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে আগামী ২৪ ডিসেম্বরে গণমিছিলের কর্মসূচিতে অংশ গ্রহনের আহবান জানাচ্ছি।


    দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও দলের স্থায়ী কমিটির পক্ষ থেকে এই  ১০ দফা উপস্থাপন করার কথা জানিয়ে এই দফাগুলো নিয়ে যুগপত আন্দোলনকারী বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মতামত  ও সম্মতি নেয়া হয়েছে বলে বক্তব্য উল্লেখ করে তিনি।


    একইসঙ্গে সমমনা বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে এই ১০ দফার প্রতি একাত্মতা ঘোষণার আহবান জানান খন্দকার মোশাররফ। তিনি বলেন, আমরা আশা করি, এই দফার সাথে তারাও একাত্মতা ঘোষণা করবেন। তারা আগামী দিনে এই ১০ দফা আদায়ের লক্ষ্যে প্রতিটি আন্দেোলন কর্মসূচি আমরা যুগপতভাবে পালন করব। এই সরকারকে বিদায় দেয়ার জন্য ধর্য্্য সহকারে আপনারা আমাদের এই আন্দোলন-কর্মসূচিকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন।

    এছাড়া বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসহ গ্রেফতারকৃত নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার ও কর্মী হত্যার প্রতিবাদে আগামী ১৩ ডিসেম্বর ঢাকাসহ সকল মহানগরী ও বিভাগীয় সদরে বিক্ষোভ মিছিল-সমাবেশের কর্মসূচিও ঘোষণা করেন তিনি।


    ১০ দফা হচ্ছে, অবৈধ জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত করে ভোটবিহীন গণতন্ত্র হরণকারী সরকারের পদত্যাগ, ১৯৯৬ সালে সংবিধানে সংযোচিত ধারার আলোকে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন, নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করে আরপিও সংশোধন, ইভিএম পদ্ধতি বাতিল ও পেপার ব্যালট এর মাধ্যমে ভোট গ্রহন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীক ব্যবহার বাতিল করা, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি, রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সকল মামলা প্রত্যাহার, কারা বন্দি নেতা-কর্মী, মানবাধিকার কর্মী, সাংবাদিক ও আলেমদের সাজা বাতিল করে সকলের মুক্তি, দেশে সভা-সমাবেশ ও মত প্রকাশে বাধা অপসারণ, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, সন্ত্রাস দমন আইন, বিশেষ ক্ষমতা আইন, মৌলিক অধিকার হরণকারী সকল কালাকানুন বাতিল,বিদ্যুত-জ্বালানি, গ্যাস, সার ও পানিসহ জনসেবা খাতসমূহে মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাতিল, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে আনতে প্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারকে সিন্ডিকেট মুক্ত করা, মুদ্রা স্ফীতির আলোকে শ্রমজীবী মানুষের ন্যায্য মজুরী নির্ধারণ, শিশুশ্রম বন্ধ,  কৃষি পণ্যের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করা, ১৫ বছরের বিদেশে অর্থ পাচার, ব্যাংকি ও আর্থিক খাত, বিদ্যুত জ্বালানি খাত, শেয়ার বাজারসহ রাষ্ট্রীয় সকল ক্ষেত্রে সংঘটিত দুর্নীতি চিহ্নিত করতে কমিশন গঠন, ১৫ বছরের গুমের শিকার নাগরিকদের উদ্ধার, বিচারবর্হিভূত হত্যা ও রাষ্ট্রীয় নির্যাতনের প্রতিটি ঘটনা আইনানুগ বিচার ও যথাযথ শাস্তি নিশ্চিত করা, ধর্মীয় উপাশনালয় ভাংচুর, তাদের সম্পত্তি দখলের বিরুদ্ধে দায়ী ব্যক্তিতের বিচারিক প্রক্রিয়ায় শাস্তির নিশ্চিত করা এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, প্রশাসন ও বিচার বিভাগকে প্রাতিষ্ঠানিক শৃঙ্খলা ও পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালনে উপযোগী করার লক্ষে সরকারি হস্তক্ষেপ পরিহার করে স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ সৃষ্টি করা।

     
    জ্বালানি তেল ও নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, দলীয় কর্মসূচিতে নেতা-কর্মী নিহত হওয়ার প্রতিবাদে এবং দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে দেশের সব বিভাগীয় শহরে সমাবেশ করেছে বিএনপি। ঢাকার সমাবেশের মধ্য দিয়ে আড়াই মাসের কর্মসূচি শেষ করে নতুন কর্মসূচি দিলো বিএনপি।


    সকাল সাড়ে ১০টায় সমাবেশ শুরু হয়, শেষ হয় বিকাল সাড়ে ৪টায়। এই সমাবেশকে ঘিরে নানা উদ্বেগ-কন্ঠা থাকলেও হাজার হাজার মানুষের এই সমাবেশ জনসমুদ্রে পরিণত সকলে। মাঠ ছাড়িয়ে সায়েদাবাদ, কমলাপুর স্টেডিয়াম পর্যন্ত পুরো সড়কেও মানুষের ঢল নামে। মিছিলের পর মিছিল এই সমাবেশ আসতে থাকে শুক্রবার রাত থেকেই। সমাবেশ সফল করার জন্য দলের নেতা-কর্মীদের প্রতি অভিনন্দন জানান খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

     

    দুপুরে দলের সিনিয়র নেতারা সমাবেশের মঞ্চে উপস্থিত হলে স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে গোলাপবাগ মাঠ। ‘ফয়সালা হবে কোন পথে, রাজপথে রাজপথে’ ‘এক দফা এক দাবি, শেখ হাসিনা তুই কবে যাবি’ ইত্যাদি স্লোগান দিচ্ছিলেন নেতাকর্মীরা।

    এই গণসমাবেশকে ঘিরে সায়েদাবাদ বাসস্ট্যান্ডসহ বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক পুলিশ, র‌্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সর্তক অবস্থায় মোতায়েন ছিলো। সাঁজোয়া যান, জল কামান, প্রিজন ভ্যানসহ বিভিন্ন যান রাখা ছিলো বিভিন্ন সড়ক মোড়ে।

    প্রধান অতিথির বক্তব্যে খন্দকার মোশাররফ সরকারের দমনপীড়ন ও গণবিরোধী কার্য্ক্রম তুলে ধরে বলেন, অতীতে ৯টি সমাবেশ করেছি সেগুলো সরকার বাধার সৃষ্টি করেছে। ওই সমাবেশে পরিবহন ধর্মঘট দিয়ে আমাদের নেতা-কর্মীরা যাতে সমাবেশে উপস্থিত না হতে পারে তার ব্যবস্থা করেছে। কিন্তু সরকারের এতো বাধা-বিপত্তি সত্বেও মানুষ নদী সাতরিয়ে, ভেলাতে পার হয়ে, সাইকেলে, হেটে তারা ওইসব সমাবেশগুলোকে সফল করেছে। আজকেও সরকার এই সমাবেশকে বাধা দিতে চেয়েছিলো। কিন্তু ঢাকা বিভাগের সাধারণ মানুষ এই সমাবেশে অংশ নিয়ে সরকারের রক্তচুক্ষুর জবাব দিয়েছে। জনগনের বার্তা যারা গণতন্ত্র ধবংস করেছে, তাদের নিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়, যারা অর্থনীতি ধবংস করেছে তাদের নিয়ে অর্থনীতি পুনরুদ্ধার করা সম্ভব নয়…. সেজন্য সারা দেশের জনগন বার্তা দিয়েছে, এদেশের জনগন এই সরকারকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না, অনতিবিলম্বে এই সরকারের বিদায় দেখতে চায়।

    সভাপতির বক্তব্যের মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ বলেন, এই শান্তিপূর্ণ সমাবেশ সফল করে আপনারা আজকে সরকারকে সমচিত জবাব দিয়েছেন। এজন্য আপনাদের অভিনন্দন জানাই, সালাম জানাই। একই সঙ্গে বলতে চাই, স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্ত জানাতে চাই, এই সমাবেশ শেষ হওয়ার পর আপনারা যার যার বাড়িতে চলে যাবেন।

    সভাপতিত্বে ও মহানগর দক্ষিনের রফিকুল আলম মজনু ও উত্তরের আমিনুল হকের সঞ্চালনায় এই গনসমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য জমির উদ্দিন সরকার, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, বরকত উল্লাহ বুলু, এজেডএম জাহিদ হোসেন, আহমেদ আজম খান, কেন্দ্রীয় নেতা ফরহাদ হালিম ডোনার, মাহবুব উদ্দিন খোকন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, জয়নাল আবেদীন, রুমিন ফারহানা, মোশাররফ হোসেন, উকিল আবদুস সাত্তার, আমিনুল ইসলাম, জাহিদুর রহমান, জিএম সিরাজ, আবদুস সালাম আজাদ, নাসির উদ্দিন অসীম, সালাহউদ্দিন আহমেদ, কায়সার কামাল, মীর সরফত আলী সপু, শিরিন সুলতানা, আবুল কালাম আজাদ, বেনজীর আহমেদ টিপু, দেওয়ান মো. সালাউদ্দিন, ডা. রফিকুল ইসলাম, মীর নেওয়াজ আলী, নজরুল ইসলাম আজাদ, কাজী আবুল বাশার, আশরাফ উদ্দিন বকুল, হুমায়ুন কবির খান, সাইফুল আলম নিরব, তাবিথ আউয়াল, ইশরাক হোসেন, ওমর ফারুক শাফিন, আকরামুল হাসান, হাবিবুর রশিদ হাবিব প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।

    মহিলা দলের আফরোজা আব্বাস, যুব দলের মামুন হাসান, স্বেচ্ছাসেবক দলের এসএম জিলানি, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাদেক আহমেদ খান, শ্রমিক দলের আনোয়ার হোসাইন, কৃষক দলের হাসান জাফির তুহিন,  তাতী দলের কাজী মনিরুজ্জামান, মতস্যজীবী দলের আবদুর রহিম, উলামা দলের মাওলানা আবুল হোসেন, ছাত্র দলের কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবনসহ বিভিন্ন জেলা ও মহানগর বিএনপির নেতারা বক্তব্য রাখেন।

     




    সাতদিনের সেরা খবর

    রাজনীতি - এর আরো খবর

    খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত : রিজভী

    খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত : রিজভী

    ১১ ডিসেম্বর, ২০২২ ০৭:২১ পূর্বাহ্ন

     পিআর নিয়ে আবারও যে মন্তব্য মির্জা ফখরুলের

    পিআর নিয়ে আবারও যে মন্তব্য মির্জা ফখরুলের

    ১১ ডিসেম্বর, ২০২২ ০৭:২১ পূর্বাহ্ন