শিরোনাম
  • ফের যে আসন থেকে নির্বাচনের সম্ভাবনা রয়েছে খালেদা জিয়ার আন্তর্জাতিক ফুটবলে যে সমস্যার মুখোমুখি হতে যাচ্ছে ইসরায়েল কে এই নতুন মেসি-ইয়ামাল? ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শনে গিয়ে যা বললেন ড. মুহাম্মদ ইউনুস সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন কাঠামোতে যে নতুন নির্দেশনা দিলেন প্রধান উপদেষ্টা আলুর দাম নিয়ে যে দুঃসংবাদ শোনালেন বাণিজ্য উপদেষ্টা হাইকোর্টের রায়ের স্থগিতাদেশ নিয়ে যা জানালেন আইনজীবী শিশির মনির নির্বাচন নিয়ে নতুন যে বিবৃতি দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার সরকার নির্বাচন নিয়ে চাপ দিলে পদত্যাগ করবো: সিইসি শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচার করলে তাৎক্ষণিক আইনি ব্যবস্থা: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং
  • ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ নিয়ে সরকার ভয় পেয়েছে: রাজশাহীর সমাবেশে ফখরুল

    নিজস্ব প্রতিবেদক

    ৩ ডিসেম্বর, ২০২২ ১০:৪৯ অপরাহ্ন

    ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ নিয়ে সরকার ভয় পেয়েছে: রাজশাহীর সমাবেশে ফখরুল

    ১০ ডিসেম্বর নয়াপল্টনের বিএনপির বিভাগীয় গণ সমাবেশ নিয়ে সরকার ভয় পেয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আমরা নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করতে চাই। তারা (সরকার) তাদের ক্ষমতা হারানোর ভয়ে ঘুম হারাম করে ফেলেছে। তারা আতংকে ভুগছে।

    শনিবার রাজশাহী নগরের হাজী মুহম্মদ মহসীন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে (মাদ্রাসা মাঠে) বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।

    ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় সমাবেশের মাধ্যমে তাদের গণসমাবেশের ধারাবাহিক কর্মসূচি শেষ হবে। ওই দিন নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করতে চায় বিএনপি, কিন্তু তাদের অনুমতি দেওয়া হয়েছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে।

    মির্জা ফখরুল বলেন, ১০ তারিখে বিএনপি নয়াপল্টনেই সমাবেশ করতে চায়। সেখানে বিএনপি বরাবর বিভাগীয়, জাতীয় অনেক সমাবেশ করেছে। সেখানে লাখ লাখ মানুষ হয়েছে। কোনো দিন কোনো সমস্যা হয়নি। তিনি প্রশ্ন রাখেন, তাহলে এখন কেন সমস্যার কথা আসছে?
    তিনি বলেন, সরকার জঙ্গি আক্রমণের ধুয়া তুলেছে। যখন সরকারের দরকার হয়-এবার বিএনপিকে ধরতে হবে, তখন তারা জঙ্গি তৈরি করে। নিজেরা বাস পুড়িয়ে, ককটেল মেরে বলে বিএনপি অগ্নিসন্ত্রাস করছে।

    সরকার ভয়ে আছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, চোরের মন পুলিশ পুলিশ এদের অবস্থা এ রকম। কিছু হলেই দুঃস্বপ্ন দেখে। বিএনপি আইলো, বিএনপি আইলো, তারেক রহমান আইলো, তারেক রহমান আইলো।

    তিনি বলেন, বিএনপির যে আন্দোলন, তা খালেদা জিয়াকে প্রধানমন্ত্রী করার জন্য নয়, তারেক রহমানকে প্রধানমন্ত্রী করার জন্য নয়, বা তাঁদের দলের নেতাদের মন্ত্রী হওয়ার জন্য নয়, এ আন্দোলন ভোটাধিকার ফিরে পাওয়ার আন্দোলন।

    নিরপেক্ষ সরকারের অধীনেই নির্বাচনের দাবি জানিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করতে হবে। জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত করে নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। তারা একটি নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করবে। তারপর নতুন নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচনে সংসদ গঠিত হবে। এখন যেসব দল আন্দোলনে আছে তাদের নিয়ে জাতীয় সরকার গঠন করা হবে। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে ছাড়া এ দেশে কেনো নির্বাচন হবে না।

    নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বিএনপির মহাসচিব বলেন, এই সরকারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। তাদের রুখে দিতে না পারলে সব অর্জন শেষ হয়ে যাবে। দুর্বার গণ-আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটাতে হবে।

    জ্বালানি তেল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির মূল্য বৃদ্ধি, চলমান আন্দোলনে ভোলায় নূরে আলম ও আব্দুর রহিম, নারায়ণগঞ্জে শাওন, মুন্সিগঞ্জে শহিদুল ইসলাম শাওন ও যশোরে আব্দুল আলিম মোট ৫ জন হত্যার প্রতিবাদে, খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়েরের প্রতিবাদে সারা দেশে বিভাগীয় গণসমাবেশ কর্মসূচি ঘোষণা দেয় বিএনপি।

    শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার পর রাজশাহী বিভাগীয় গণসমাবেশ শুরু হয়। বিএনপির রাজশাহী মহানগরীর আহŸায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা এরশাদ আলী ঈশার সভাপতিত্বে ও মামুনুর রশিদ ও শ্রী বিশ্বনাথ সরকারের পরিচালনায় গণসমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, কেন্দ্রীয় নেতা মিজানুর রহমান মিনু, মো. শাহজাহান মিয়া, আব্দুল মান্নান তালুকদার, হাবিবুর রহমান হাবিব, কর্নেল এম এ লতিফ খান, শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, শাহিন শওকত, ওবায়দুর রহমান চন্দন, আমিরুল ইসলাম খান আলিম, মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, নাদিম মোস্তফা, অ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলন, আবু সাঈদ চাঁদ, তোফাজ্জল হোসেন তপু, আবু বকর সিদ্দিক, ফজলুর রহমান খোকন, যুবদলের সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, আতিকুর রহমান রুমন, ছাত্রদলের সাইফ মাহমুদ জুয়েল, তাঁতী দলের আবুল কালাম আজাদ, ওলামা দলের শাহ মোহাম্মদ নেছারুল হক, শ্রমিকদলের আনোয়ার হোসাইন, কাজী মো. আমীর খসরু, মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু, নওগাঁ জেলার আবু বকর সিদ্দিক নান্নু প্রমুখ।

    মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমাদের চলমান লড়াই সংগ্রামে ৬ শতাধিক নেতাকর্মী গুম হয়েছে। পাবনার ঈশ্বরদীতে জাকারিয়া পিন্টু সহ ৯ জনকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছে। এতোদিন পরে সাজা দিয়ে বিরোধী দলকে নির্মূল করতে চায় সরকার। কিন্তু বিরোধী দল আরো নতুনভাবে উদ্যমী হয়েছে।

    তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ এখন লুটেরা দলে পরিণত হয়েছে। নিজেরা লুট করে পাহাড় বানাচ্ছে আর সাধারণ মানুষকে গরিব করছে। কদিন আগেই পাবনার কয়েকজন কৃষককে জেলখানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অথচ ক্ষমতাসীনরা ব্যাংক লুট করে দিচ্ছে। খাজাঞ্চিখানা শুন্য করে দিচ্ছে কোনো ব্যাবস্থা নেওয়া হয় না। ইসলামী ব্যাংকের টাকা নামে বেনামে ঋণের নামে লুট করছে।

    বিএনপি মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ দেশের রাজনৈতিক কাঠামো ধ্বংস করেছে। তারা কেয়ারটেকারের দাবিতে ১৭৩ দিন হরতাল করেছিল। গান পাউডার দিয়ে আগুন ধরিয়ে মানুষ মেরেছে। পাঁচবার কেয়ারটেকারের অধীনে নির্বাচন হয়েছে সমস্যা হয়নি। কিন্তু আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে সেই ব্যবস্থা বাতিল করেছে।

    মির্জা ফখরুল বলেন, রাজশাহীর ইতিহাস আন্দোলনের ইতিহাস। এই রাজশাহীতে অনেক বরেণ্য মানুষের জন্ম হয়েছে। তেভাগা আন্দোলনের সূতিকাগার বৃহত্তর রাজশাহী। এই অঞ্চলে জন্মেছেন দুই মহানায়ক। একজন মওলানা ভাসানী আরেকজন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান।বিভাগীয় গণসমাবেশে যোগ দিতে যারা তিনদিন ধরে কনকনে শীত উপেক্ষা করে খোলা আকাশের নিচে রাত যাপন করেছেন। খেয়ে না খেয়ে সমাবেশে যোগ দিয়েছেন। তাদেরকে অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা জানান মির্জা ফখরুল।

     

     

     

     

     




    সাতদিনের সেরা খবর

    রাজনীতি - এর আরো খবর

     পিআর নিয়ে আবারও যে মন্তব্য মির্জা ফখরুলের

    পিআর নিয়ে আবারও যে মন্তব্য মির্জা ফখরুলের

    ৩ ডিসেম্বর, ২০২২ ১০:৪৯ অপরাহ্ন