দিন, তারিখ ঠিক করে স্বৈরাচার, ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন ঘটানো যায় না উল্লেখ করে গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুলহক নুর বলেন, "আজ থেকে গণঅধিকার পরিষদ ফ্যাসিবাদ পতনের আন্দোলনের ঘোষণা দিচ্ছে। কে ক্ষমতায় আসবে, কে প্রধানমন্ত্রী হবে সেটা নিয়ে আলোচনার সময় এখন না উল্লেখ করে নুরুলহক নুর বলেন, দেশের জনগণ আজ আওয়ামী দুঃশাসন থেকে মুক্তি চায়। তাই যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে ফ্যাসিবাদী সরকার পতনের গণআন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।
বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশে সরকার সহিংসতা করছে উল্লেখ করে নারায়ণগঞ্জে ছাত্রলীগ, যুবলীগের ককটেল বিস্ফোরণে বিএনপি ও গণঅধিকার পরিষদের নেতাদের নামে মিথ্যা মামলার নিন্দা জানিয়ে অনতিবিলম্বে সকল মিথ্যা প্রত্যাহার ও রাজবন্দীর মুক্তির দাবি জানিয়ে সরকারকে এ ধরনের সহিংসতা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান তিনি। ভিপি নুর বলেন, হেফাজতের মতো বিএনপি নেতা-কর্মীদের উপর দমন-পীড়ন করতে সরকার বিএনপিকে নয়াপল্টনের পরিবর্তনে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মতো আবদ্ধ জায়গায় সমাবেশের অনুমতি দিয়েছে। এটা বিএনপির জন্য ভালো হবে না। বেহেশতের কথা বলে সরকার দেশকে দোযখে পরিণত করেছে। উন্নয়নের কথা বলে দেশকে দুর্ভিক্ষের দিকে নিয়ে এসেছে। লুটপাট করে দেশকে ফাঁকা করে ফেলেছে। তাই দুর্ভিক্ষের আগে দুর্বৃত্ত সরকারকে বিদায় দিতে হবে।
গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়া বলেন, "সরকার অসংখ্য আলেম-ওলামা ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে অন্যায়ভাবে মিথ্যা মামলায় জেলে ভরে রেখেছে, তাদেরকে অত্যাচার করেছে।আমাদের নেতা-কর্মীদেরও এখন হয়রানি করছে। এই সমাবেশ থেকে আমি অবিলম্বে আলেম-ওলামাসহ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের মুক্তি দাবি করছি। অবৈধ সরকার দেশ চালাতে পারছে না। দেশের অর্থনীতির অবস্থা ভালো না উল্লেখ করে রেজা কিবরিয়া বলেন,"শেখ হাসিনা যা বলে সবসময় তার উল্টোটা হয়, তিনি বললেন ব্যাংক নিরাপদ সেখানে টাকা রাখুন আর মানুষ ব্যাংক থেকে টাকা তু্লে ফেলছে।

জনগণ অর্থনীতির একটা স্থিতিশীল অবস্থা চায়, জনগণ চায় জিনিসপত্র মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মাঝে থাকুক।
মানুষের কষ্ট বাড়ছে, এই সরকার যতোদিন ক্ষমতায় থাকবে মানুষের কষ্ট তত বাড়বে। তাই এ সরকারকে বিদায় দিতে আমাদের রাস্তায় নামতে হবে, আন্দোলন করতে হবে। এই সরকার যতই প্রলোভন দেখাক গণঅধিকার পরিষদ কোন ষড়যন্ত্রের সাথে আতাত করবে না, কোন ষড়যন্ত্রে পা দিবে না। মানুষের আস্থা রক্ষা ও ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনাই গণঅধিকার পরিষদের লক্ষ্য।
গণঅধিকার পরিষদের নেতা মাহফুজুর রহমান ও সাইফুল্লাহ হায়দারের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খাঁন, হাসান আল মামুন, ফারুক হাসান, শহিদুল ইসলাম ফাহিম, ব্রি জেনারেল হাবিবুর রহমান, ব্যারিস্টার জিসান মহসিনসহ ছাত্র, যুব, শ্রমিক ও গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।