দীর্ঘ পাঁচ মাস চিকিৎসা শেষে থাইল্যান্ড থেকে দেশে ফিরেছেন জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ। রোববার (২৭ নভেম্বর) পৌনে ১২টার দিকে থাই এয়ারওয়েজের একটি বিমানে ঢাকায় পৌঁছান তিনি।
রওশন এরশাদের দেশে ফেরা উপলক্ষে ব্যাপক শোডাউনের প্রস্তুতির কথা জানানো হয়েছিল আগেই। সেই মোতাবেক বিমানবন্দরে জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীদের ঢল নেমেছে।
সকাল থেকেই বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জের সামনে অবস্থান নেন জাতীয় পার্টির বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা। এসময় তারা ‘আমরা সবাই এরশাদ সেনা’, ‘রওশন এরশাদের আগমন, শুভেচ্ছা স্বাগতম’ স্লোগান দেন।
রওশন এরশাদের সঙ্গে রয়েছেন তার ছেলে রংপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য রাহগির আল মাহি সাদ এরশাদ ও পুত্রবধু মাহিমা সাদ। এছাড়াও জাতীয় পার্টির দশম জাতীয় সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং এরশাদ ট্রাস্টের চেয়ারম্যান কাজী মামুনুর রশীদ সঙ্গে রয়েছেন।
এদিকে, বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে উপস্থিতি থেকে বিরোধীদলীয় নেতাকে অভ্যর্থনা জানান- জাতীয় পার্টির সাবেক মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা, বিরোধী দলীয় নেতার রাজনৈতিক সচিব গোলাম মসীহ, পার্টির সিনিয়র নেতা অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন খান, এসএমএম আলম, সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ফখরুজ্জামান জাহাঙ্গীর, সাবেক সংসদ সদস্য ও দলীয় চেয়ারম্যানের সাবেক উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা, সাবেক সংসদ সদস্য এমএ গোফরান, সাবেক সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম মিলন, পার্টির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইকবাল হোসেন রাজু, জাতীয় ছাত্র সমাজের সাবেক সভাপতি মনিরুজ্জামান টিটু প্রমুখ।
যদিও জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদের ও মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুকে বিমানবন্দরে দেখা যায়নি। তবে তাদের পক্ষ থেকে সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, কো-চেয়ারম্যান এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, কাজী ফিরোজ রশীদ বিমানবন্দরে রওশন এরশাদকে শুভেচ্ছা জানাতে আসেন।
বিমানবন্দরে নির্ধারিত আনুষ্ঠানিকতা শেষে ভিআইপি লাউঞ্জ গেটে উপস্থিত দলীয় নেতাকর্মী, সমর্থক ও সংবাদমাধ্যমের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন রওশন এরশাদ।
এদিকে, রওশন এরশাদের দেশে ফেরা উপলক্ষে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গুলশানের হোটেল ওয়েস্টিন পর্যন্ত সড়ক দ্বীপ ও রাস্তার দুপাশে লাগানো হয় ব্যানার-ফেস্টুন। এছাড়া নগরজুড়ে লাগানো হয় নানা রঙের ব্যানার-ফেস্টুন।