বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন সরকার পতনের আন্দোলন শুরু হয়ে গেছে এ আন্দোলন ঠেকানোর ক্ষমতা সরকারের নেই। হত্যা হামলা মামলা নির্যাতন করে জনগণের আন্দোলন দমানো যাবে না। সরকারের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে সারাদেশের মানুষের যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে তা দমনের ক্ষমতা তাদের নেই। জনগণের দাবি একটা তা হলো এ সরকারের বিদায়। গণতন্ত্রের মুক্তি। গনতন্ত্রের মা বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি। তিনি আরও বলেন আগামী ১০ ডিসেম্বর নাকি সমাবেশ করতে দেওয়া হবে না। দশ তারিখে নয়াপল্টনে সমাবেশ হবেই হবে । কোন বাধাই বিএনপির সমাবেশ ঠেকাতে পারবে না।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশের গুলিতে ছাত্রদল নেতা নয়ন নিহতের প্রতিবাদে সকাল সাড়ে আটটায় ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে বিক্ষোভ মিছিল শেষে সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা জেলা বিএনপির উদ্যোগে এ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নিপুণ রায় চৌধুরীর পরিচালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। এসময় ঢাকা জেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি খন্দকার মাঈনুল ইসলাম বিল্টু, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক সামশুল ইসলামসহ সহস্রাধিক নেতাকর্মী অংশ নেন।
রুহুল কবির রিজভী আরও বলেন, আন্দোলনে ভীত হয়ে সরকার হত্যা ও নির্যাতনের পথ বেছে নিয়েছে। বেছে বেছে যুবকদের গুলি করে হত্যা করছে। আমাদের সাতজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে । কিন্তু জনগণ আজ আন্দোলনে ফেটে পড়েছে। অন্যায়ের বিরুদ্ধে জেগে উঠেছে। সরকারের পতন ছাড়া তারা ঘরে ফিরে যাবে না।
বিএনপির এ মুখপাত্র বলেন অবিলম্বে হত্যার রাজনীতি বন্ধ করুন। ক্ষমতা ছেড়ে নির্দলীয় সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন। করুণ পরিণতির হাত থেকে রক্ষা পেতে এটাই একমাত্র পথ। আপনাদের পালিয়ে যাওয়ার সুযোগও জনগণ দিবে না।