শিরোনাম
  • ফের যে আসন থেকে নির্বাচনের সম্ভাবনা রয়েছে খালেদা জিয়ার আন্তর্জাতিক ফুটবলে যে সমস্যার মুখোমুখি হতে যাচ্ছে ইসরায়েল কে এই নতুন মেসি-ইয়ামাল? ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শনে গিয়ে যা বললেন ড. মুহাম্মদ ইউনুস সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন কাঠামোতে যে নতুন নির্দেশনা দিলেন প্রধান উপদেষ্টা আলুর দাম নিয়ে যে দুঃসংবাদ শোনালেন বাণিজ্য উপদেষ্টা হাইকোর্টের রায়ের স্থগিতাদেশ নিয়ে যা জানালেন আইনজীবী শিশির মনির নির্বাচন নিয়ে নতুন যে বিবৃতি দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার সরকার নির্বাচন নিয়ে চাপ দিলে পদত্যাগ করবো: সিইসি শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচার করলে তাৎক্ষণিক আইনি ব্যবস্থা: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং
  • ১০ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে সমাবেশের অনুমতি চায় বিএনপি

    নিজস্ব প্রতিবেদক

    ১৫ নভেম্বর, ২০২২ ১১:৫৪ অপরাহ্ন

    ১০ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে সমাবেশের অনুমতি চায় বিএনপি

    রাজধানীর নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকার বিভাগীয় গণসমাবেশ করতে চায় বিএনপি। সেই সমাবেশ করার অনুমতি চেয়ে মঙ্গলবার দলটির একটি প্রতিনিধি দল ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকের কার্যালয়ে যান। সেখান থেকে ফিরে এসে বিএনপি নেতারা বিষয়টি জানান।

    সকাল ১০টায় মিন্টো রোডের ডিএমপি কমিশনারের কার্যালয়ে যান বিএনপির নেতারা। তাদের মধ্যে ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তরের আহŸায়ক আমানউল্লাহ আমান, কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম, প্রচার সম্পাদক ও বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্যসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, বিএনপি ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ সদস্যসচিব আমিনুল হক, রফিকুল আলম মজনুসহ আরও কয়েকজন।

    সেখান থেকে বের হওয়ার পর আমানউল্লাহ আমান সাংবাদিকদের বলেন, ছয়টি বিভাগীয় শহরে বিএনপির শান্তিপূর্ণ সমাবেশ হয়েছে। আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। সেই সমাবেশের জন্য আমরা অনুমতি চেয়েছি। তারা বলেছেন, তারা আলাপ-আলোচনা করে সেটা বলবেন, আমাদের জানাবেন।

    কোথায় অনুমতি চেয়েছেন, এ প্রশ্নের জবাবে আমানউল্লাহ বলেন, আমরা আমাদের দপ্তর থেকে চিঠি দিয়েছি। আমরা পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অনুমতি চেয়েছি। এখানে আমরা আগেও সমাবেশ করেছি। আমরা বলেছি, সমাবেশটি হবে শান্তিপূর্ণ। নিরাপত্তার বিষয়টি তারা দেখবেন বলে আমরা চিঠিতে বলেছি।

    আগের সমাবেশগুলোর অবস্থা তুলে ধরে আমানউল্লাহ বলেন, আপনারা দেখেছেন, চট্টগ্রামে সমস্ত বাসসহ সব পরিবহন বন্ধ করে দিয়েছে। এর পরে আরও পাঁচটি বিভাগীয় সমাবেশেও একই কাজ করা হয়েছে। আমরা বলেছি, এ ধরনের পরিবহন বন্ধ করা যাবে না। এ বিষয়টি তাদের দেখতে অনুরোধ করেছি। আমাদের সমাবেশে যারা আসবে, তারা যেন কোনো বাধার সম্মুখীন না হয়। তাদের ওপর যেন কোনো ধরনের আক্রমণ না করা হয়।

    তিনি বলেন, আমরা কমিশনারকে বলেছি, আপনি আওয়ামী লীগের কমিশনার নন, বিএনপির কমিশনার নন, আপনি সরকারের কমিশনার। আপনি সরকারি কর্মকর্তা। এদিকে লক্ষ রেখে আপনি আপনার দায়িত্ব পালন করবেন। আমাদের পক্ষ থেকে আমরা সব ধরনের সহযোগিতা করব। ডিএমপি কমিশনারের কাছে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ধরপাকড়ের বিষয়টিও তুলে ধরা হয় বলে জানান আমানউল্লাহ।

    এ সময় সাংবাদিকদের সামনে বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ বলেন, আমরা আমাদের পার্টি অফিসের সামনে সমাবেশ করার অনুমতি চেয়েছি। তারা বলেছেন, আর কোনো বিকল্প প্রস্তাব আছে কি না। আমরা বলেছি, আমরা আমাদের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানাব। বিভিন্ন দিক বিবেচনা করেই আমরা পার্টি অফিসের সামনে সমাবেশ করতে চেয়েছি। সরকারি দল যেভাবে ফ্যাসিবাদের দিকে যাচ্ছে, বিভিন্ন জায়গায় অবরোধ করছে। তাই আমরা যদি আমাদের পার্টি অফিসের সামনে সমাবেশ করি, তবে সরকারি দল তেমন কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারবে না।

    গোয়েন্দা প্রতিবেদন দেখে সিদ্ধান্ত দেবে ডিএমপি: এদিকে ঢাকায় আগামী ১০ ডিসেম্বর বিএনপিতে সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হবে কি না, সরকারের বিভিন্ন সংস্থার গোয়েন্দা প্রতিবেদন পর্যালোচনার পর সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ।
    বিএনপির সাত সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল সমাবেশের অনুমতির জন্য মঙ্গলবার ঢাকার পুলিশ কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকের সঙ্গে সাক্ষাত করেন।

    গণসমাবেশের অনুমতি ছাড়াও সমাবেশে বিএনপি নেতা-কর্মীদের অংশ নিতে যেন বাধা দেওয়া না হয়, সে দাবিও তারা পুলিশ কমিশনারের কাছে তুলে ধরেন।

    তাদের ওই আবেদনের বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত হয়েছে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার ফারুক হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, পুলিশ কমিশনার বলেছেন, তারা যে আবেদনটা করেছে সেটা বিবেচনা করা হবে।

    ডিএমপির মুখপাত্র বলেন, আবেদনের পরে ডিএমপির ইন্টারনাল গোয়েন্দা প্রতিবেদন ছাড়াও সরকারের অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থা রিপোর্ট দেবে থ্রেট অ্যানালাইসিস করে। ওই রিপোর্ট পাওয়ার পরে সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে যে ১০ তারিখ তাদের পারমিশন দেওয়া হবে কী হবে না। তারপর সিদ্ধান্ত হবে যে কোন ভেন্যুতে (স্থানে) তাদের পারমিশন দেওয়া হবে।

    জ্বালানি তেলসহ নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, বিএনপির আন্দোলনে পাঁচ নেতা-কর্মীর নিহত হওয়ার প্রতিবাদে এবং দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি, নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সংসদ নির্বাচনের দাবিতে সব বিভাগীয় শহরে এই সমাবেশ করছে বিএনপি। ১০ ডিসেম্বরে ঢাকায় সমাবেশের মধ্য দিয়ে তাদের এ কর্মসূচি শেষে নতুন কর্মসূচি ঘোষণার কথা রয়েছে।

     

     




    সাতদিনের সেরা খবর

    রাজনীতি - এর আরো খবর

     পিআর নিয়ে আবারও যে মন্তব্য মির্জা ফখরুলের

    পিআর নিয়ে আবারও যে মন্তব্য মির্জা ফখরুলের

    ১৫ নভেম্বর, ২০২২ ১১:৫৪ অপরাহ্ন