শিরোনাম
  • ফের যে আসন থেকে নির্বাচনের সম্ভাবনা রয়েছে খালেদা জিয়ার আন্তর্জাতিক ফুটবলে যে সমস্যার মুখোমুখি হতে যাচ্ছে ইসরায়েল কে এই নতুন মেসি-ইয়ামাল? ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শনে গিয়ে যা বললেন ড. মুহাম্মদ ইউনুস সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন কাঠামোতে যে নতুন নির্দেশনা দিলেন প্রধান উপদেষ্টা আলুর দাম নিয়ে যে দুঃসংবাদ শোনালেন বাণিজ্য উপদেষ্টা হাইকোর্টের রায়ের স্থগিতাদেশ নিয়ে যা জানালেন আইনজীবী শিশির মনির নির্বাচন নিয়ে নতুন যে বিবৃতি দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার সরকার নির্বাচন নিয়ে চাপ দিলে পদত্যাগ করবো: সিইসি শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচার করলে তাৎক্ষণিক আইনি ব্যবস্থা: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং
  • বিভাগীয় গণমাবেশ উপলক্ষ্যে বরিশালে বিএনপির সংবাদ সম্মেলন

    নিজস্ব প্রতিবেদক

    ২ নভেম্বর, ২০২২ ০৬:৩৩ অপরাহ্ন

    বিভাগীয় গণমাবেশ উপলক্ষ্যে বরিশালে বিএনপির সংবাদ সম্মেলন

    আগামী ৫ নভেম্বর বরিশাল বিভাগীয় গণসমাবেশ উপলক্ষ্যে আজ বুধবার (২ নভেম্বর)  দুপুর সাড়ে ১২টায় সংবাদ সম্মেলন করেছে বিএনপি। বরিশাল প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পেশ করেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান।

    এসময় সমাবেশ প্রস্তুতি কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন ও দলনেতা বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিবুন নবী  সোহেলসহ বিভাগীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

    সেলিমা রহমানের লিখিত বক্তব্য: ইতোমধ্যেই আপনারা জানেন, আগামী ৫ নভেম্বর আমাদের দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি দক্ষিনবাংলার রাজধানী শহরের ঐতিহাসিক বেলস্ পার্ক ময়দানে বরিশাল বিভাগীয় গণ সমাবেশ অনুস্ঠিত করতে যাচ্ছে। গণসমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে চলমান আমাদের সকল তত্পরতা ও বরিশাল বাসীর আগ্রহের খবর আপনাদের সহযোগিতায় ইতিমধ্যেই দেশ বিদেশে সকলে অবগত হয়েছেন। চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, খুলনা ও রংপুর বাসীর স্বতস্ফুর্ত অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে গণ সমাবেশগুলি জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছিল। সরকারী দল ও প্রশাসনের সকল বাঁধা বিপত্তি মোকাবিলা করে প্রতিটি গণসমাবেশ মহাসমাবেশে রূপান্তরিত হয়েছে। প্রমাণ হয়েছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারকে জনগণ আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। দেশের সকল বিরোধী দলও ইতিমধ্যেই সরকার পতনের লক্ষ্যে যুগপৎ ভাবে বিএনপির সাথে আন্দোলন করার ঘোষণা দিয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায়  বরিশাল বিভাগবাসী আগামী ৫ নভেম্বর শনিবার দক্ষিণ বাংলার জনগণ গণ সমাবেশ সফল করে প্রমাণ করে দিবে, আর এক মুহূর্ত অপেক্ষা নয়, এই মুহূর্তেই এদেশের গণতন্ত্রপ্রিয় মানুষ বর্তমান  ভোটের অধিকার হরণকারী ফ্যাসিস্ট সরকারের  পদত্যাগ চায়।
    প্রিয় সাংবাদিক বৃন্দ,
    আপনারা সহ দেশবাসী দেখেছেন চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, খুলনা ও রংপুরের গণ সমাবেশগুলো  ভণ্ডুল ও বাধাগ্রস্ত করার জন্য ক্ষমতাসীন  আওয়ামী দলীয় সন্ত্রাসী ও দলবাজ প্রশাসনের সমন্বিত অপচেষ্টায় সর্বাত্মক তৎপরতা চালিয়েছে।  আপনাদের কাছে গত কয়েকদিনের বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন উপজেলা,শহর কিংবা মহানগরে আওয়ামী সন্ত্রাসী কার্যক্রমের যে নগ্ন চিত্র ইতোমধ্যেই জমা হয়েছে তাতে নিঃসন্দেহে এটা প্রমাণিত আগামী ০৫ নভেম্বর বরিশালের গণ সমাবেশকে ভন্ডুল করাই হচ্ছে এই ফ্যাসিস্ট রাজনৈতিক অপশক্তির  পরবর্তী প্রকল্প।

    প্রিয় সাংবাদিক ভাই ও বোনেরা,
    আপনারা অবগত আছেন,  সেই  লক্ষ্যে বাস্তবায়নে ইতোমধ্যেই সেই একই রাজনৈতিক অপশক্তি ‘বরিশাল জেলা বাসমালিক গ্রুপ’ এর নামে আগামী ৪ ও ৫ নভেম্বর পরিবহন ধর্মঘট আহবান করেছে।  আমরা অত্যন্ত দ্ব্যার্থহীন ভাষায় জানাতে চাই, এ ধরনের পদক্ষেপের মাধ্যমে আওয়ামীলীগ তার  অতি পরিচিত ফ্যাসিষ্ট বাকশালী ভাবধারার ঘৃণ্য চরিত্রকেই বৃহত্তর বরিশালবাসী ও  গণতন্ত্রপ্রিয় সমগ্র বাংলাদেশ সহ বিশ্ববাসীর সামনে আবারও উন্মোচন করেছে। তবে, ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠাকরণ ও জ্বালানী তেল,দ্রব্যমুল্য কমানোর দাবীতে অংশগ্রহণকারী কিংবা নৈতিক সমর্থন প্রদানকারী জনগণ  খুব ভাল করেই জানে ও অনুধাবন করতে সক্ষম যে, বাসমালিক পক্ষকে ব্যাপকভাবে  চাপ দিয়েই তাদের নাম ব্যবহার করছে সরকারী দল। তদুপরি, বিএনপি ইতিমধ্যেই বাসমালিক পক্ষকে লিখিত ভাবে আশ্বস্ত করেছে, তাদের যেকোন ন্যায্য দাবীকে বিএনপি নীতিগতভাবে সমর্থন করে এবং ভবিষ্যতেও করবে।
    তাই দেশের সবচাইতে জনপ্রিয় দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি  দেশের সকল   প্রতিবাদী জনগণের পক্ষ থেকে  বাসমালিক পক্ষকে আওয়ামীলীগ নেতৃত্বাধীন ফ্যাসিস্ট সরকারের   হাতিয়ারে পরিণত করার এধরনের  অপচেস্টা থেকে তাদেরকে দূরে থাকার  আহ্বান জানাচ্ছে।  মনে রাখতে হবে, এই ফ্যাসিবাদী সরকার জনগণের মতপ্রকাশের অধিকার কেড়ে নিতে  রাস্ট্রের সকল প্রতিস্ঠানকে ভেঙেচুরে যে ভাবে তাদের দলীয়  হাতিয়ারে পরিনত করেছে,  ঠিক একই ভাবে বাসমালিক পক্ষকে এবং এ জাতীয় সকল  সমিতি সমূহকে ব্যবহার করতে চাচ্ছে  স্রেফ বিএনপি আয়োজিত বরিশাল বিভাগীয় গণ সমাবেশকে বানচাল  ও  দেশের সর্বাধিক জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল বিএনপি’র হাজার হাজার নেতা-কর্মী-সমর্থককে   দমন-পীড়নের ঘৃন্য কর্মকাণ্ডে।

    প্রিয় সাংবাদিক বৃন্দ ,
    তার অংশ হিসেবে আওয়ামী সন্ত্রাসী বাহিনী  উজিরপুর ও বাকেরগঞ্জ উপজেলা  বিএনপি কর্তৃক  আয়োজিত বরিশাল বিভাগীয় গণ সমাবেশের প্রস্তুতি সভায়  হামলা চালিয়েছে।  এতে উজিরপুর উপজেলাধীন শোলক ইউনিয়ন সাধারণ সম্পাদক  মনির জমাদ্দার, যুবদলের সাবেক সভাপতি শাহীন শিকদার, মিজানুর রহমান মিঠু বালি সহসভাপতি উজিরপুর, শোলক ইউনিয়নের যুগ্ম-সম্পাদক আক্রাম হোসেন বুলবুল ,উজিরপুর পৌর মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক  মনিরা আক্তার, সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদা আক্তার তারা আহত হয়েছেন। বাকেরগঞ্জ উপজেলায় বিএনপির  আহত নেতৃবৃন্দদের রয়েছেন, যথাক্রমে হারুন জমাদ্দার, আলহাজ্জ মুনসুর শিকদার ও যুবনেতা সজল সহ অনেকে। পটুয়াখালী শহরে বিএনপির প্রচার মিছিলে আক্রমণ  করা হয়েছে । গ্রেপ্তার করা হয়েছে( ৩১ অক্টোবর) বরগুনা জেলার যুবনেতা মিরাজুর রহমান সৈয়দকে ।

    এছাড়া অনেক দিন যাবৎ, গৌরনদী ও আগৈলঝাড়া উপজেলা দুটিতে স্হানীয় সরকারীদল ও প্রশাসন যৌথভাবে নিরবচ্ছিন্ন দমন-পীড়নের মাধ্যমে  বিএনপির সামগ্রিক রাজনৈতিক কার্যক্রমকে  সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে রেখেছে।  ০৫ নভেম্বরে বিএনপির  বরিশাল বিভাগীয় গণ সমাবেশকে সামনে রেখে গত কয়েকদিনে দমন-পীড়নের মাত্রা রীতিমতো অসহনীয় পর্যায়ে চলে গেছে।  অত্যাচার ও নির্যাতনের মাত্রা  এতটাই বৃদ্ধি পেয়েছে যে,  বেশীর ভাগ নেতাকর্মী বর্তমানে  এলাকার বাইরে অবস্হান করতে  বাধ্য হয়েছছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সমগ্র  বরিশাল বিভাগ জুড়েই বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়ী-বাড়ী  বাড়ী চলছে দলবাজ প্রশাসনযন্ত্র কর্তৃক  তল্লাশি কার্যক্রম,গ্রেপ্তার কার্যক্রম। সমগ্র জনপদে পরিস্থিতি  এতটাই দুর্বিষহ আকার ধারণ করেছে যে গণ সমাবেশে যেতে বাধা দিতে ইতোমধ্যেই প্রত্যন্ত অঞ্চলের রাস্তাঘাটের মোড়ে মোড়ে আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসীরা চৌকি বসিয়ে সর্বাত্মক প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে। এতে যে কেবল বিএনপি আয়োজিত গণ সমাবেশে যোগদানে ইচ্ছুক সাধারণ সহ বিএনপির নেতা-কর্মী-সমর্থকরাইহামলার শিকার হচ্ছে তাই নয়। চিকিৎসা,শিক্ষা,সহ জরুরী প্রয়োজনে যাতায়াতকারী সবধরনের মানুষই আজ চরম ভোগান্তির সম্মুখীন।

    প্রিয় সাংবাদিক ভাই ও বোনেরা,
    আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, নির্যাতন নিপীড়ন,হামলা,মামলা,গ্রেপ্তার,নির্যাতন, অবরোধ চট্টগ্রাম,ময়মনসিংহ,খুলনা ও রংপুর  বিভাগীয় গণ সমাবেশে যেভাবে জনস্রোত থামাতে পারেনি,  ঠিক তেমনি নদী,খাল সহ দুর্গম যোগাযোগ ব্যবস্থা পরিবেষ্টিত হওয়া সত্ত্বেও  বরিশাল বিভাগীয় গণ সমাবেশেও তারা জনগণের উত্তাল জনস্রোতকে থামাতে পারবে না। বিন্দুমাত্র দমাতে পারবেনা  অহর্নিশ  নির্যাতনে ইস্পাত কঠিন মনোবলের দৃঢ়তায় শির দাড়া শক্ত করে ঘুরে দাঁড়ানো বিএনপির  বিশাল কর্মীবাহিনীকে।

    এ সুযোগে দেশের সকল প্রচলিত ও বিকল্প গণমাধ্যমের প্রতি  আমরা ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই এইজন্য যে, তারা সরকারের রক্তক্ষুকে উপেক্ষা করে  জনগনের কাছে লাগাতারভাবে সত্যকে তুলে ধরে চলেছেন।  
    আপনাদের মাধ্যমে পুলিশ ও প্রশাসনের পেশাদার অংশকে আমরা ধন্যবাদ জানাই এবং আশ্বস্ত করছি, গুটিকতক দলবাজ কর্মকর্তার কারনে গোটা পুলিশ ও প্রশাসনকে জনগণ যাতে ভুল না বোঝে, বিএনপি সে বিষয়ে সজাগ আছে এবং থাকবে।

    সম্মানিত সাংবাদিক বন্ধুরা,
    পরিশেষে, আপনাদের মাধ্যমে বরিশাল বিভাগ তথা দক্ষিণ বাংলার জনগনকে উদাত্ত আহ্বান জানাই, দ্বীপজেলা ভোলা থেকে শহীদ নুর আলম ও রহিমের রক্ত দিয়ে ক্ষমতাসীন ফ্যাসিস্ট  সরকারের পতনের যে আন্দোলন আপনারা  শুরু করেছেন, তা ০৫ নভেম্বর গণসমাবেশ ও রাজধানী ঢাকার মহাসমাবেশর মধ্য দিয়ে চুড়ান্ত পরিনতি দান করুন। এই সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করে নির্বাচনকালীন দলনিরপেক্ষ সরকার কায়েম করে অবাধ নির্বাচন ও হারানো ভোটাধিকার আদায় করুন ।

    বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি জনগণের অধিকার আদায়ের  এই লড়াই  শেষ না হওয়া পর্যন্ত  এদেশের শান্তিকামী জনতার সাথে থাকার দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করছে। জনগণকে সাথে নিয়ে চুড়ান্ত আন্দোলনের মাধ্যমে বর্তমান গণবিরোধী ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন ঘটিয়ে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা করে ফিরিয়ে আনব জনগণের নির্বিঘ্ন ও নিরাপদ  ভোটের অধিকার।
    মুক্ত করব আমাদের প্রাণপ্রিয়  মাতা ‘মাদার অব ডেমোক্রাসি’ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে। দেশে ফিরিয়ে আনব চলমান আন্দোলনে  আমাদের পথপ্রদর্শক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক জনাব তারেক রহমানকে।
    পরিস্হিতি অনুযায়ী আমরা আপনাদের বারবার স্মরণ করব।
    আবারও আপনাদের ধন্যবাদ জানিয় শেষ করছি আজকের এই সংবাদ সম্মেলন। খোদা হাফেজ। বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।




    সাতদিনের সেরা খবর

    রাজনীতি - এর আরো খবর

     পিআর নিয়ে আবারও যে মন্তব্য মির্জা ফখরুলের

    পিআর নিয়ে আবারও যে মন্তব্য মির্জা ফখরুলের

    ২ নভেম্বর, ২০২২ ০৬:৩৩ অপরাহ্ন