অতি অল্প সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের মানুষ মুক্তিযুদ্ধের মত আরেকবার ঐক্যবদ্ধভাবে জেগে উঠবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেছেন, সব মানুষই চায় এদেশে গণতন্ত্র ফিরে আসুক। মানুষের অধিকারগুলো সুরক্ষিত হোক। আমরা গণতান্ত্রিক পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে যে আন্দোলন শুরু করেছি, সে আন্দোলনে লাখ লাখ সাধারণ মানুষ উপস্থিত হচ্ছে। আমি বিশ্বাস করি অতি অল্প সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের মানুষ মুক্তিযুদ্ধ যেভাবে করেছিলো সেইভাবে আরেকবার তারা ঐক্যবদ্ধভাবে যেগে উঠবে। এই ভয়াবহ অশুভ শক্তিকে পরাজিত করে তারা সত্যিকার অর্থে একটি বাংলাদেশ গড়ে তুলবে।
সোমবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে শারদীয় দুর্গাপূজা পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, গণতন্ত্র যদি না থাকে তাহলে কারও অধিকার সেখানে প্রতিষ্ঠিত হয় না। বিএনপির মূল কথা হলো সবাইকে নিয়ে- হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, বর্ণ সকলকে নিয়ে একটি জাতীয়তাবাদ। এই জাতীয়তাবাদই হচ্ছে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ।
তিনি বলেন, আমাদের সবাইকে একটি কথা মনে রাখতে হবে আমরা এখন বিপদে রয়েছি সংকটে রয়েছি। সেই সংকটটি হচ্ছে আমাদের অস্তিত্বের সংকট, সেই সংকটটি হচ্ছে স্বাধীনতার সার্বভৌমত্ব রক্ষার সংকট, সে সংকট হচ্ছে আমাদের গণতন্ত্রের সংকট। এই সংকটকে আমাদের কাটিয়ে উঠতে হবে।
আজকে আমার দেশ সংকটে, জাতি সংকটে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে কথা আমরা সবসময় বলি, স্বাধীনতার চেতনার কথা বলা হয়। কিন্তু স্বাধীনতার চেতনাটা কি? স্বাধীনতার চেতনা ছিল আমাদের দেশে গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করা। স্বাধীনতার চেতনা হচ্ছে প্রত্যেকটি মানুষের অধিকারকে সংরক্ষিত করা। স্বাধীনতার চেতনা হচ্ছে সাম্য মানবিক মূল্যবোধ এবং ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করা। একটি কল্যাণমূলক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা সেটাই আজকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী প্রমুখ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।