বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এই ভয়াবহ ফ্যাসিস্ট সরকারকে পরাজিত করা হবে। সরকারের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আপনারা অবিলম্বে পদত্যাগ করুন। সংসদ বিলুপ্ত করে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন। কারণ আপনাদের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না।
শনিবার বিকালে খুলনা নগরীর সোনালী ব্যাংক চত্বরে আয়োজিত গণ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ ১০টি আসনও পাবে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আওয়ামী লীগ ১৭৩ দিন হরতাল পালন করেছিল বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
খুলনার সমাবেশে বাধার অভিযোগ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, তিন দিন ধরে সমস্ত কিছু বন্ধ করে দিয়েছে। দুদিন ধরে বাস বন্ধ করে দিয়েছে। নৌপরিবহন বন্ধ করে দিয়েছে। কিন্তু এত কিছুর পরেও গণতন্ত্রের লড়াইয়ের যে সংগ্রাম, তাতে বাধা দিতে পারেনি। প্রশাসনকে ব্যবহার করে জনগণকে দমিয়ে রাখা যায় না। আজকে সেটা আবার প্রমাণ হয়েছে।
সরকারের সমালোচনা করে ফখরুল বলেন, এই সরকার সংবিধানকে লঙ্ঘন করেছে মানবাধিকারকে লংঘন করেছে, আমাদের বিচার বিভাগের সম্পূর্ণ দলীয়করণ করেছে। স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে নষ্ট করে দিয়েছে, মানুষ সেবা পায় না।
ফখরুল বলেন, আমরা ভবিষ্যতে যদি রাষ্ট্র ক্ষমতার দায়িত্ব পাই তাহলে তরুণ যুবকদের জন্য কাজের ব্যবস্থা করব। কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করব, চাকরির ব্যবস্থা করব। ন্যায় বিচার করার ব্যবস্থা করব। আর যারা মেগা প্রযুক্তির নামে মেগা দুর্নীতি করেছে তা তদন্তের কমিশন গঠন করব।
জ্বালানি তেল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, দলীয় কর্মসূচিতে গুলি করে নেতা-কর্মীদের হত্যার প্রতিবাদ এবং নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপক্ষে সরকারের দাবিতে বিভাগীয় (দলের সাংগঠনিক বিভাগ) পর্যায়ে সমাবেশ করছে বিএনপি। ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম ও ময়মনসিংহ বিভাগীয় সমাবেশ সম্পন্ন করেছে দলটি।
সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, শামসুজ্জামান দুদু, নিতাই রায় চৌধুরী, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।