ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের আবহাওয়া বিজ্ঞানের উন্নয়নে দূরদর্শিতার স্বাক্ষর রেখে গেছেন। দূর্যোগ মোকাবেলায় ও দেশের সার্বিক উন্নয়নে আবহাওয়ার পূর্বাভাস জান-মাল রক্ষাসহ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে, যা তিনি সর্বদাই উপলব্ধি করতেন। এজন্যই বঙ্গবন্ধু ১৯৭৫সালে রাঙামাটির বেতবুনিয়ায় দেশের ১ম ভূ-উপগ্রহ স্থাপন করেছিলেন।
আজ (১০ ডিসেম্বর) শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আবহাওয়া বিজ্ঞান বিভাগের মিলনায়তনে ‘আবহাওয়া ও জলবায়ু বিজ্ঞান’ শীর্ষক দু’দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপাচার্য প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আবহাওয়া বিজ্ঞান বিভাগ ও বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের যৌথভাবে এই সম্মেলন আয়োজন করে।
আবহাওয়া বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারপার্সন ও আর্থ এন্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. তৌহিদা রশীদের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক. ড. নাসরীন আহমাদ, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান এবং এনপিআই ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ডি. এ. কাদির বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত স্বপ্ন পূরণে তাঁর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এদেশের ১ম উপগ্রহ ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট’ চালু হয়েছে। এই অনন্য অর্জনের মাধ্যমে আবহাওয়া ও জলবায়ুর পূর্বাভাস পেতে এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আমরা অনেক ধাপ এগিয়ে গেছি। তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় বিশ্ব সম্প্রদায়ের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার বিকল্প নেই। আবহাওয়া ও জলবায়ুর পরিবর্তনের সঠিক পূর্বাভাস পেতে মৌলিক গবেষণা ও উদ্ভাবন বৃদ্ধি করতে হবে। এই সম্মেলনে লব্ধ জ্ঞান নীতিনির্ধারক, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা এবং গবেষকবৃন্দের সংশ্লিষ্ট বিষয়ে শিক্ষা-গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে উপাচার্য আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সম্মেলনে ভারত, চীন, নেপাল, ভুটান, জাপান, মিশর, বেলজিয়াম, অস্ট্রেলিয়া ও আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশের শিক্ষক, গবেষক, নীতিনির্ধারক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ অংশ নেন।