চাকরি না খুঁজে শিক্ষা জীবন শেষে অল্প পুঁজিতে কৃষি কাজের মাধ্যমে স্বাবলম্বী আাওয়াল। । আওয়াল হলো উপজেলার শিবগঞ্জ পৌরসভাধীন পিঠালীটোলা গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে। গত শুক্রবার সরজমিনে গিয়ে দেখা ও আওয়ালের সাথে কথা বলে জানা গেছে ছোট থেকেই টেলিভিশনে ও মোবাইলের ইউটিউবে কৃষি বিষয়ক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে অনুপ্রাণিত হয়ে শিবগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ শরিফুল ইসলাম ও শিবগঞ্জ পৌরসভার উপসহকারী কৃষি অফিসার গোলাম আজম কনকের সাথে আলাপ করি। তারা আমাকে একই জমিতে কয়েকধরনের ফল উৎপাদনে কম খরছে অধিক লাভের আশার আলো দেখান।
তিনি জানান, নিজের জমি না থাকায় পিঠালীটোলা মাঠে শেরাফত মৌজায় গত ২০২১ সালে বাৎসরিক বিঘা প্রতি ১৩ হাজার টাকা দরে ৬ জমি ১০ বছরের জন্য বর্গা নিয়ে আম সহ ৮ রকমের ফলের আবাদ শুরু করি। আগে থেকে জমিওয়ালার লাগানো ৭০ ঝাড় আম গাছে টপ ওয়ার্কিং করে কাটিমন আমের জাত তৈরী করি। মাত্র এক বছরের ব্যবধানে এ মৌসুমেই ৩০মন কাটিমন আম ১০হাজার টাকা মন দরে বিক্রি করে ৩ লাখ টাকা পেয়েছি এবং আরো প্রায় ৩৫মন কাটিমন আম এখনো আছে। যা আরো এক মাস পর প্রায় ৪ লাখ টাকায় বিক্রি করতে পারবো।
কাটিমন আমগুলিকে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বারোমাসি করা হয়েছে। বছরে তিনবার মুকুল আসে। তবে একবার মুকুল ভেঙ্গে ফেলি। শুরু থেকে এপর্যন্ত প্রায় ৮ লাখ টাকা খরচ করেছি। ১০বছরে খরচের টার্গেট ধরা হয়েছে ৫০ লাখ টাকা। আয় হবে প্রায় ১ কোটি ৫০লাখ টাকা। খরচ বাদে আয় হবে প্রায় ১ কোটি টাকা।
তিনি বলেন, আমার বাগানে, মালটা ২‘শ ঝাড়, চায়না কমলা ১‘ ঝাড় পেয়ারা ২১৫ ঝাড়, মরিচ ২‘শ ৫০ঝাড় আলু বোখরা (এক ধরনের মসলা) ১০ ঝাড়, ড্রাগন ৯‘শ ৫০ঝাড়, বারি-১১- ৮ঝাড়। এ সাত ধরনের ফল থেকে আগামী ৯বছরে ৫০ লাখ টাকা আয়ের টার্গেট ধরা হয়েছে। তাছাড়া বাগানের বেড়ার চারদিকে ঝিংগা, মিষ্টি কুমড়া, লাউ ওল সহ বিভিন্ন ধরনের সবজি লাগানো হয়েছে। যা থেকে আমার ও ৭ জন শ্রমিকের সবজার চাহিদা মিটানোর পর কিছু বিক্রি করতে পেরেছি। শুধু তাই পরীক্ষামুলকভাবে ৫কাঠা জমিতে ফিলিাপাইনের আখ লাগানো হয়েছে। আাশা করি সফল হবো এবং আরো জমিতে ফিলিপাইনের আগের চাষ করবো।
আওয়াল আরও বলেন, কৃষি কাজের মধ্যে এত লাভ ও আনন্দ তা কেবল যে কৃষি কাজ করে সেই জানে।
এ ব্যাপারে শিবগঞ্জ পৌরসভার উপসহকারী কৃষি অফিসার গোলাম আজম কনক বলেন, আওযাল উপেেজলায় একজন কৃষক যিনি একবা জমিতে প্রায় ৮ রকমের ফল ও কয়েক রমকের সবজি উৎপাদন করতে সক্ষম হয়েছেন। তিনি বলেন, আমি সার্বক্ষনিক তাকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করি। আমার পরামর্শে তিনি বাগানে রাসায়নিক সারের পরিবর্তে জৈব সার প্রয়োগ করেন ।
শিবগঞ্জ উপজেলা সিনিয়র কৃষি অফিসার শরিফুল ইসলাম বলেন, শিবগঞ্জে আওযাল একজন ব্যতিক্রম ধর্র্মী কৃষক, আমি, জেলা ও বিভাগীয় কৃষি অফিসাগণ তার বাগান পরিদর্শন করেছি। তাকে সব ধরনের সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছি। তাকে বঙ্গবন্ধু’ কৃষি পদকের ক্ষেত্রে মূল্যয়নের তালিকায় রেখেছি। তিনি শ্রেষ্ঠ কৃষক হিসাবে এ পদকটি পেতে পারেন বলে আশা করছি।