বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষে আহত মুন্সীগঞ্জের যুবদল নেতা শহীদুল ইসলাম শাওন মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। গত বুধবার মুন্সীগঞ্জ শহরের উপকন্ঠ মুক্তারপুরে পুলিশ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে শাওন আহত হন। গুরুতর অবস্থায় তাকেসহ জাহাঙ্গির মাদবর, তারেক হোসেনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে নিয়ে আসা হয়।
বিএনপির অভিযোগ, পুলিশের গুলিতে মারা গেছেন শাওন। মুন্সীগঞ্জ জেলার মীর কাদিম পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ড যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। দুই বছর আগে তিনি বিয়ে করেন। তার এক বছরের একটি সন্তান রয়েছে বলে জানা গেছে।
শাওনের মৃত্যুর সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন দলের নেতাকর্মীরা। এসময়ে হাসপাতালে ছুটে যান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক ও জেলার সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান রতন, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, সাধারণ সম্পাদক মোনায়েম মুšুা, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভুইয়া জুয়েলসহ আরো অনেকে।
এসময়ে যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু বলেন, হত্যা, গুলি আর নির্যাতন করে কোন স্বৈরাচারী সরকারই টিকে থাকতে পারেনি। এই সরকারও পারবে না। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে এই সরকারের পতন ঘটবে। সেদিন এই জুলুমের বিচার হবে। প্রতিটি ফোটা রক্তের হিসেব কড়ায় কফ্ফায় নেওয়া হবে। অত্যšø ঠাফ্ফা মাথায় পরিকল্পিতভাবে শাওনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এই মধ্য দিয়েই তাদের আন্দোলনকে আরো বেগবান করা হবে।
কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বুধবার সদর উপজেলা, মুন্সীগঞ্জ শহর ও মিরকাদিম পৌর বিএনপি শহরের মুক্তারপুর এলাকার পুরাতন ফেরীঘাট এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে পুলিশের বাধাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের সূত্রপাত। এ ঘটনায় পুলিশ, সাংবাদিকসহ বিএনপির অন্তত ৬০ জন আহত হন। এর মধ্যে গুরুতর আহতদের বুধবার সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। শাওনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় রাতেই তাকে আইসিইউতে নিয়ে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ৯টায় মৃত্যু হয় তার।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যুবদল নেতার মৃত্যতে গভীর শোক প্রকাশ ও পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
দলের মিডিয়া বিভাগের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, শাওনের নামাজের জানাজা শুক্রবার বাদ জুমা নয়া পল্টন বিএনপি কেন্দ্রীয় অফিসের সামনে অনুষ্ঠিত হবে। এতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ নেতাকর্মীরা উপস্থিত থাকবেন।