যশোর শিক্ষাবোর্ডের অধীনে শনিবার অনুষ্ঠেয় এসএসসির বাংলা দ্বিতীয় পত্রের বহু নির্বাচনী (এমসিকিউ) পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। তবে সৃজনশীল পরীক্ষা যথারীতি অনুষ্ঠিত হবে। শুক্রবার এক নোটিশের মাধ্যমে যশোর শিক্ষাবোর্ড এ তথ্য জানায়।
যশোর শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. আহসান হাবীব স্বাক্ষরিত জরুরি নোটিশে বলা হয়, অনিবার্য কারণবশত: শনিবার অনুষ্ঠেয় বাংলা (আবশ্যিক) দ্বিতীয় পত্র (১০২) বিষয়ের বহুনির্বাচনি (এমসিকিউ) পরীক্ষা স্থগিত করা হলো। উক্ত বিষয়ের শুধুমাত্র সৃজনশীল (সিকিউ) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এ পরীক্ষার সময়সীমা হবে-সকাল ১১ টা থেকে দুপুর ১২টা ৪০ পর্যন্ত।
বাংলা (আবশ্যিক) দ্বিতীয় পত্র (১০২) বিষয়ের বহুনির্বাচনি (এমসিকিউ) পরীক্ষার তারিখ পরবর্তীতে জানানো হবে বলেও ওই নোটিশে উল্লেখ করা হয়।
যশোর শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মাধব চন্দ্র রুদ্র জানান, বৃহস্পতিবার এসএসির প্রথম দিন পরীক্ষা শুরু হলে নড়াইলের কালিয়া উপজেলার প্যারিশংকর পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় ও বাঐসোনা কামশিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের পরীক্ষার্থীদের মধ্যে বাংলা প্রথম পত্রের প্রশ্নের পরিবর্তে বাংলা দ্বিতীয় পত্রের এমসিকিউ প্রশ্ন বিতরণ করা হলে পরীক্ষার্থীদের কাছে ভুলটি ধরা পড়ে। এছাড়া লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রেও একই ঘটনা ঘটে।
ওই ঘটনায় নড়াইলের জেলা প্রশাসক বাংলা দ্বিতীয় পত্রের এমসিকিউ পরীক্ষা স্থগিতের সুপারিশ করেন। এরপর বোর্ড কর্তৃপক্ষ শনিবার অনুষ্ঠিতব্য বাংলা দ্বিতীয় পত্রের এমসিকিউ পরীক্ষা স্থগিত সিদ্ধান্ত নিয়ে শুক্রবার বিকেলে নোটিশ জারি করে।
ভুল প্রশ্ন সরবরাহের বিষয়ে বৃহস্পতিবার তাৎক্ষনিকভাবে প্যারী শংকর পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্রসচিব দীপ্তি রানী বৈরাগী গণমাধ্যমকে বলেন, বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষার বহুনির্বাচনী প্রশ্নের একটি প্যাকেটের ওপরে বাংলা প্রথম পত্রের কোড থাকলেও ভেতরে বাংলা দ্বিতীয় পত্রের ১০০টি প্রশ্ন ছিল। পরীক্ষা কেন্দ্রের মোট ৯টি কক্ষের মধ্যে তিনটি কক্ষের পরীক্ষার্থীদের মধ্যে বাংলা দ্বিতীয় পত্রের প্রশ্নপত্র বিতরণ করা হয়। তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই বিষয়টি বুঝতে পেরে সঙ্গে সঙ্গে প্রশ্নপত্রগুলো শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ফেরত নেওয়া হয়।
বাঐসোনা কামশিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্রসচিব অমলেন্দু হিরা দাবি করেন, তাঁর কেন্দ্রে আসা প্রশ্নপত্রের একটি প্যাকেটে বাংলা প্রথমপত্রের এমসিকিউ প্রশ্নপত্রের বদলে দ্বিতীয়পত্রের প্রশ্নপত্র ছিল। প্যাকেট খুলে ভুলের বিষয়টি দেখা যায়। তবে পরীক্ষার্থীদের মধ্যে বিতরণের আগেই বিষয়টি নজরে আসায় তা বিতরণ করা হয়নি।