শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি বলেছেন সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নির্ভর, বিজ্ঞান বান্ধব, দক্ষতা নির্ভর, মানবিক ও সৃজনশীল শিক্ষা ব্যবস্থা প্রচলনে কাজ করছে।
তিনি শুক্রবার পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়োজনে "বঙ্গবন্ধু: বাংলাদেশ জাতি রাস্ট্র প্রতিষ্ঠার মহানায়ক" শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. হাফিজা খাতুনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মোঃ নুরুজ্জামান বিশ্বাস, সংসদ সদস্য আহমেদ ফিরোজ কবির, বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. নূরজাহান বেগম, স্কয়ার টয়লেট্রিজ লিমিটেড ও স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেড-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক বীর মুক্তিযোদ্ধা অঞ্জন চৌধুরী প্রমুখ।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য, অধ্যাপক ড. এস. এম. মোস্তফা কামাল খান।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু ভবিষ্যৎ দেখতে পেতেন। তিনি মানুষের হৃদয়ে বাস করতেন। তার ইতিহাস বোধ ছিল প্রচন্ড। তাই তিনি অনেকের আপত্তি সত্ত্বেও ৭০ এর নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন। ৭০ সালের নির্বাচনের নিরঙ্কুশ বিজয় স্বাধীনতার বৈধতা তৈরি করেছিল। নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলে মুক্তিযুদ্ধে হয়ত আন্তর্জাতিক সমর্থন পাওয়া যেত না। তেমনি ৭ মার্চের ভাষনে তিনি স্বাধীনতার ঘোষনা দেননি। কারণ ঘোষনা দিলে স্বাধীনতা যুদ্ধকে বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন বলার চেষ্টা করতো পাকিস্তান সরকার অসা¤প্রদায়িক, শোষন মুক্ত বৈষম্যহীন, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গঠনে সকলকে কাজ করার আহবান জানান শিক্ষামন্ত্রী।
ড. মো. মশিউর রহমান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে মুক্ত বুদ্ধির চর্চা হবে। এটাই স্বাভাবিক। কিন্ত প্রশ্ন হলো হাজার বছর ধরে বঞ্চিত বাংগালী জাতি কি ৭১ সালের আগে কখনো এই মুক্তির স্বাদ পেয়েছিল।
১৯৭১ সালের ৭ মার্চ ঐতিহাসিক ভাষণে বঙ্গবন্ধু বাংগালীর মাঝে সেই মুক্তির স্বপ্ন জাগিয়েছিলেন। পৃথিবীর অনেক পরাশক্তিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে তিনি বাংলাদেশকে দিয়েছেন মুক্তির স্বাদ। এভাবে তিনি শুধু বাংলাদেশ নয়, এশিয়া নয়, সারা বিশ্বের মুক্তিকামী মানুষের নেতা হয়ে উঠেছিলেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।