শিরোনাম
  • ফের যে আসন থেকে নির্বাচনের সম্ভাবনা রয়েছে খালেদা জিয়ার আন্তর্জাতিক ফুটবলে যে সমস্যার মুখোমুখি হতে যাচ্ছে ইসরায়েল কে এই নতুন মেসি-ইয়ামাল? ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শনে গিয়ে যা বললেন ড. মুহাম্মদ ইউনুস সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন কাঠামোতে যে নতুন নির্দেশনা দিলেন প্রধান উপদেষ্টা আলুর দাম নিয়ে যে দুঃসংবাদ শোনালেন বাণিজ্য উপদেষ্টা হাইকোর্টের রায়ের স্থগিতাদেশ নিয়ে যা জানালেন আইনজীবী শিশির মনির নির্বাচন নিয়ে নতুন যে বিবৃতি দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার সরকার নির্বাচন নিয়ে চাপ দিলে পদত্যাগ করবো: সিইসি শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচার করলে তাৎক্ষণিক আইনি ব্যবস্থা: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং
  • সরকারকে আর কোনো ছাড় দেওয়া হবে না: মির্জা আব্বাস

    নিজস্ব প্রতিবেদক

    ১৬ জুলাই, ২০২২ ১০:৫৬ অপরাহ্ন

    সরকারকে আর কোনো ছাড় দেওয়া হবে না: মির্জা আব্বাস

    সরকারকে আর কোনো ছাড় দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।

    শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশে সরকারের দমন-নির্যাতনের বিরুদ্ধে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এ হুঁশিয়ারি দেন।
    তিনি বলেন, বহু খুন, হত্যা দেখেছি, আর আমরা তা দেখতে চাই না। এবার প্রতিরোধ হবে, প্রতিবাদ হবে। সরকারকে আর কোনো ছাড় দেওয়া যাবে না। আপনারা এখন প্রস্তুতি নিন এ সরকারের পতন ঘটাতে হবে। এক বদিউজ্জামান ধনির হত্যার বিচার করে লক্ষ মানুষের হত্যার বিচার করা যাবে না এ সরকারের পতন না করা পর্যন্ত।

    জাতীয়তাবাদী যুবদল মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের উদ্যোগে যশোর যুবদল নেতা বদিউজ্জামান ধনি হত্যার প্রতিবাদে এ বিক্ষোভ সমাবেশ হয়।
    গত ১২ জুলাই যশোর শহরের বেজপাড়া চোপদারপাড়া এলাকায় যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি বদিউজ্জামান ধনিকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
    মির্জা আব্বাস বলেন, আজকে বদিউজ্জামান ধনির খুনকে সরকার বিএনপির ওপর চালান করতে চাচ্ছে। যে এটা অভ্যন্তরীণ কোন্দল।

    আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, এটা কোনো অভ্যন্তরীণ কোন্দল নয়। এ হত্যাকাÐটা আওয়ামী লীগ ঘটিয়েছে এবং একের পর এক করে বিএনপি কর্মীদের ভয় পাইয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। বিএনপির কর্মীরা কখনও ভয় পায় না। আমরা বদিজ্জামান ধনি হত্যার সঠিক বিচার আশা করছি। যদি এ হত্যাকাÐের বিচার না হয় বিএনপি এর বিচার করবে। আমাদের ভয়ের কোনো কারণ নেই।

    মির্জা আব্বাস বলেন, পত্রিকায় আজকে আসছে- বিএনপি নাকি একটি পতিত দল। যিনি (ওবায়দুল কাদের) পতিত দল বলেছেন, তার সম্পর্কে দু-একটা কথা না বললেই নয়, বলতেই হয়। একসঙ্গে (১/১১ সময়কাল) জেলে ছিলাম। সারাদিন জেলখানায় প্রায় কান্নাকাটি করতেন। আর ওই সময়ে অনেকের সামনেই কান ধরে বলতেন, আমি জীবনে আর রাজনীতি করমু না। আজকে উনার মুখ থেকে বেরিয়েছে পতিত দল। উনার সম্পর্কে কথা হয়েছে কাউয়া কাদের.. তার মুখ থেকে বের হয়েছে পতিত দল কথা, যার অর্থ আমি বুঝতে পারিনি।

    আমি বলব, বিএনপি যদি পতিত দল হয়ে থাকে তাহলে এত ভয় কেন আপনাদের? আমাদের মিছিল-মিটিং করতে দেন না। একটা পতিত দল মিছিল করবে, মিটিং করবে আপনাদের ভয়ের কী আছে?

    তিনি বলেন, এ কাদের সাহেবই বলেছেন তাদের কোনো এক মিটিংয়ে যে, যা কিছু কামাইছেন কিছুই কিন্তু থাকবে না, সব টাকা-পয়সা বালতি-ঘইটা ফেইলা দেশ থেকে পালাইতে হইবো। আমরা উনাকে পালাতে বলিনি, উনারাই দেশ থেকে পালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন না। আমরা তাদের পালাতে বলিনি। কারণ যত লুট, যত খুন করেছে এর বিচার তো আমরা করবো। যুদ্ধাপরাধীর বিচার যদি ৪০ বছর পর হতে পারে, আপনাদেরও দরকার পড়লে মরনোত্তর বিচার হবে সেদিন সময় আসবে।

    মির্জা আব্বাস বলেন, আপনারা বলেন এত উন্নয়ন করেছেন- দেশের মানুষ খুশি হয়ে ভোট দেবে-ছেড়ে দেন না। আমরা তো একটাই চেয়েছি-বেশি কিছু চাইনি। আমরা বলেছি, নিরপেক্ষ সরকার, তত্ত¡াবধায়ক সরকার কিংবা নির্বাচনকালীন সরকার। কিন্তু যদি কারচুপি করে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে ভোট হয়। ইভিএম চিনি না আমরা, ইভিএম বুঝি না আমরা, দরকার নেই এটি। বিএনপি আপনাদের অধীনে নির্বাচনে যাবে না-এটাই সঠিক।
    সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে যারা বিশ্বাস করে তারা নাস্তিক, আল্লাহর উপর তাদের বিশ্বাস নাই।

    এ সময় রাজধানীসহ সারাদেশে লোডশেডিংয়ের সমালোচনা করে গয়েশ্বর বলেন, কুইক রেন্টালের নামে কুইক কমিশনের টাকা ফেরত দিতে হবে ক্ষমতাসীনদের। দুর্নীতির টাকা ফেরত দিতে হবে সরকারকে। এক পদ্মা সেতুর কথা বলে ১৩ বছরের গুম খুন নির্যাতনকে ঢাকা যাবে না।
    নির্বাচন শব্দটি মুখে না আনতে নেতাকর্মীদের প্রতি আহবান জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, বিএনপির উদ্দেশ্যে হচ্ছে এই ফ্যাসিবাদী সরকারকে হটিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা। এখন আমাদের কথা বলার সময় নেই। আমাদের ডাইরেক্ট অ্যাকশনে যেতে হবে।

    মহানগর উত্তর য্বু দলের আহŸায়ক শফিকুল ইসলাম মিল্টনের সভাপতিত্বে এবং উত্তরের সদস্য সচিব মোস্তফা জগলুল পাশা পাপেল ও দক্ষিণের খন্দকার এনামুল হক এনামের সঞ্চালনায় সমাবেশে বিএনপির আবদুস সালাম, রুহুল কবির রিজভী, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, সাইফুল আলম নীরব, যুবদলের সভাপতি মামুন হাসান, সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোনায়েম মুন্না, মহানগর বিএনপির আমিনুল হক, রফিকুল আলম মজনু, যুবদলের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি কামারুজ্জামান দুলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক ইসাহাক সরকারসহ যুবদলের মহানগর নেতারা বক্তব্য রাখেন।

     




    রাজনীতি - এর আরো খবর