বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, পুলিশ এতটাই বেপরোয়া হয়ে উঠেছে যে, তারা বিএনপির উদ্যোগে ধর্মীয় অনুষ্ঠানকেও বানচাল করতে সন্ত্রাসী হামলা চালাচ্ছে।
শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ অভিযোগ করেন। ‘রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি উপলক্ষে ১৪ জুলাই স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা এক দোয়া মাহফিলের আয়োজন করার উদ্যোগ নিলে পুলিশ নারকীয় কায়দায় উক্ত অনুষ্ঠানে আক্রমণ এবং গত ১৩ জুলাই ময়মনসিংহ জেলাধীন পাগলা থানায় আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলায় জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক ও ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আক্তারুজ্জামান বাচ্চুসহ অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত করার ঘটনায়’ তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এ বিবৃতি দেন বিএনপি মহাসচিব।
বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, পুলিশের কাছে অনুমতি নিয়ে বাগমারা উপজেলার ভবানীগঞ্জে স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তির জন্য দোয়ার অনুষ্ঠানের উপর পুলিশ যে সন্ত্রাসী তান্ডব চালায় তা নজিরবিহীন। এই ঘটনায় সরকারের নৃশংস ফ্যাসিবাদের উগ্ররুপ প্রকাশ পেয়েছে। পাশাপাশি ময়মনসিংহ জেলাধীন পাগলা উপজেলায় আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলা এবং ৪০টি মটর সাইকেল ভষ্মিভূত করা এবং আক্তারুজ্জামান বাচ্চু, তার বৃদ্ধ মাতা সহ বিএনপি নেতৃবৃন্দের ওপর যে পৈশাচিক হামলা করা হয়েছে তা বর্তমান অবৈধ সরকারের সন্ত্রাস নির্ভর অপ-রাজনীতির আরেকটি বর্ধিত প্রকাশ।
তিনি বলেন, রাজশাহীর বাগমারা ও ময়মনসিংহের পাগলার ঘটনা সরকারের পরিকল্পিত ও অসৎ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রনোদিত। বর্তমানে সরকার নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের অগ্নিমূল্য, অর্থ পাচার আর মহা দুর্নীতিতে এমনভাবে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে আছে যে সেটিকে আড়াল করার জন্যই দেশব্যাপী সন্ত্রাসের পরিকাঠামো তৈরি করেছে। আর এই সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে প্রতিদিনই বিএনপি নেতাকর্মীদের রক্ত ঝরছে। নিহত ও আহত হচ্ছেন অসংখ্য বিএনপি নেতাকর্মী। বিএনপির কর্মসূচির কথা শুনলেই আওয়ামীলীগ ও আওয়ামী প্রশাসন বিচলিত হয়ে পড়ে। মনে হয় তাদের পায়ের নিচের মাটি কাঁপতে শুরু করেছে। গণতন্ত্রকে উচ্ছেদ করে অবৈধ ক্ষমতা ধরে রাখতে এই সরকার নানা ধরনের সর্বনাশা সহিংস পন্থা অবলম্বন করেছে। এমকি পবিত্র ঈদের আগে পরেও আওয়ামী সন্ত্রাসের বাড়বাড়ন্ত স্তিমিত হয়নি। প্রচন্ডবেগে গণবিক্ষোভের বিষ্ফোরণকে ঠেকানোর জন্যই দলীয় চেতনায় সাজানো প্রশাসন ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদেরকে অবৈধ অস্ত্র দিয়ে মাঠে নামানো হয়েছে। তবে এই সরকারের পতনের সাইরেন বাজতে শুরু করেছে। জনগণের সম্মিলিত শক্তির কাছে এই সরকারের পতন এখন অতি সন্নিকটে।