প্রাচ্যের অক্সফোর্ডখ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষপূর্তি (১৯২১-২০২১) ও দেশের মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন করা হবে আগামী ১ ডিসেম্বর। এ উপলক্ষ্যে ব্যাপক আয়োজন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ১ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ১১ টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষপূর্তি ও দেশের মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে রাষ্ট্রপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর মো. আবদুল হামিদ উপস্থিত থাকবেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের কর্মসুচির মধ্যে রয়েছে- জাতীয় সংগীত পরিবেশন; শতবর্ষের তথ্যচিত্র প্রদর্শন; শতবর্ষের ‘থিম সং’ পরিবেশন (পরিবেশনায়: সংগীত বিভাগ, নৃত্যকলা বিভাগ এবং দেশের প্রথিতযশা শিল্পীবৃন্দ); রাষ্ট্রপতিকে বিশেষ স্যুভেনির প্রদান; প্রকাশিত গ্রন্থসমূহ, ফটো অ্যালবাম এবং ওয়েবসাইট প্রধান অতিথি কর্তৃক উদ্বোধন; ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা বার্তা; অতিথিদের বক্তব্য ইত্যাদি।
স্বাগত বক্তব্য দেবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) ও শতবর্ষ উদ্যাপন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ কে আজাদ, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ, পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এবং শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
সম্মাননীয় অতিথির বক্তব্য দেবেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। সভাপতির বক্তব্য দেবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইচস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ।
এদিকে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিদের জন্য বেশ কিছু নির্দেশনা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে-অতিথিদের সকাল সাড়ে ১১ টার মধ্যে আসন গ্রহণ করবেন। আমন্ত্রণপত্র সঙ্গে আনতে হবে। আমন্ত্রণপত্রের সঙ্গে জাতীয় পরিচয়পত্র/প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদত্ত আইডি/পাসপোর্ট এবং কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন সার্টিফিকেটের প্রিন্ট কপি সঙ্গে রাখতে হবে। আমন্ত্রণপত্র হস্তান্তরযোগ্য নয়। মোবাইল ফোন, হাতব্যাগ, ব্রিফকেস, ক্যামেরা, ইলেকট্রনিক ডিভাইস, ছাতা ও পানির বোতল সঙ্গে নিয়ে অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশ করা যাবে না।
আরও নির্দেশনা হচ্ছে-আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ জিমনেসিয়াম সংলগ্ন গেট দিয়ে অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশ করবেন। তাদের জন্য সকাল সাড়ে ১০ টায় গেট খোলা হবে এবং তারা সকাল সাড়ে ১১ টার মধ্যে অবশ্যই অনুষ্ঠানস্থলে আসন গ্রহণ করবেন।
চ্যান্সেলর প্যান্ডেলে প্রবেশের সময় থেকে তার মঞ্চে আসনগ্রহণ না করা পর্যন্ত অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী সবাই নিজ নিজ আসনের সামনে দাঁড়িয়ে তার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করবেন। চ্যান্সেলর অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ না করা পর্যন্ত সবাইকে নিজ নিজ আসনে অবস্থান করতে হবে।