চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হবে আগামী ১৯ জুন। এবার ৯টি সাধারণ বোর্ডের অধীনে এসএসসি, মাদ্রাসা বোর্ডের দাখিল এবং কারিগরি বোর্ডের অধীনে এসএসসি (ভোকেশনাল) পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২০ লাখ ২১ হাজার ৮৬৮ জন। গত বছরের চেয়ে এবার প্রতিষ্ঠান ও কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়লেও পরীক্ষার্থী কমেছে ২ লাখ ২১ হাজার ৩৮৬ জন।
রোববার (১২ জুন) সচিবালয়ে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এসব তথ্য তুলে ধরেন। আসন্ন এসএসসি, দাখিল ও এসএসসি (ভোকেশনাল) পরীক্ষা সুষ্ঠু, নকলমুক্ত ও ইতিবাচক পরিবেশে সম্পন্নের লক্ষ্যে গঠিত জাতীয় মনিটরিং ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির সভা শেষে এ প্রেস ব্রিফিং করেন তিনি।
শিক্ষামন্ত্রীর দেওয়া তথ্যানুযায়ী, গত বছর (২০২১) ২৯ হাজার ৩৫টি প্রতিষ্ঠানের এসএসসি পরীক্ষার্থী সংখ্যা ছিল ২২ লাখ ৪৩ হাজার ২৫৪ জন। কেন্দ্রের সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ৬৭৯টি। সে অনুযায়ী, এবার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে ২ লাখ ২১ হাজার ৩৮৬ জন। তবে প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেড়েছে ৫৫৬টি। এছাড়া ১১১টি কেন্দ্রের সংখ্যাও বেড়েছে। মূলত দুটি কারণে এবার পরীক্ষার্থী কমতে পারে বলে মনে করছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
শিক্ষার্থী কমার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রতিবছর দুই থেকে আড়াই লাখের কাছাকাছি অনিয়মিত পরীক্ষার্থী থাকে। যেহেতু গত দুই বছরের মধ্যে একবার শতভাগ পাস (পরীক্ষা ছাড়াই) করেছে। আরেক বছর পাসের হার ছিল ৯৪ শতাংশের মতো। সে কারণে অনিয়মিত শিক্ষার্থী এবার প্রায় নেই বললেই চলে। গতবার যদি পূর্ণাঙ্গ পরীক্ষা হতো, তাহলে যারা অকৃতকার্য হতো তারা এবার পরীক্ষায় অংশ নিত। সে কারণে এবার পরীক্ষার্থী কম মনে হচ্ছে। আসলে নিয়মিত পরীক্ষার্থী কমেনি।
আরেকটি বিষয় হলো, পরীক্ষার্থীদের মধ্যে যারা রেজিস্ট্রেশন করে, তাদের একটি অংশ পরীক্ষার জন্য ফরম পূরণ করে না। আগের দুটো বছরে যেহেতু একবার পরীক্ষাই হয়নি, যা আগে থেকেই বলা হয়েছিল। আবার গত বছর মাত্র তিন বিষয়ে পরীক্ষা হয়েছে। এজন্য যারা রেজিস্ট্রেশন করেছিল, তাদের প্রায় সবাই ফরম পূরণ করেছিল। কিন্তু এবার যেহেতু আবার পরীক্ষা হবে; তাই আগের মতোই যারা রেজিস্ট্রেশন করেছিল, তাদের সবাই পরীক্ষার জন্য ফরম পূরণ করেনি। এ দুটি কারণ মিলিয়েই এবার পরীক্ষার্থী কমেছে।