শিরোনাম
  • ফের যে আসন থেকে নির্বাচনের সম্ভাবনা রয়েছে খালেদা জিয়ার আন্তর্জাতিক ফুটবলে যে সমস্যার মুখোমুখি হতে যাচ্ছে ইসরায়েল কে এই নতুন মেসি-ইয়ামাল? ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শনে গিয়ে যা বললেন ড. মুহাম্মদ ইউনুস সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন কাঠামোতে যে নতুন নির্দেশনা দিলেন প্রধান উপদেষ্টা আলুর দাম নিয়ে যে দুঃসংবাদ শোনালেন বাণিজ্য উপদেষ্টা হাইকোর্টের রায়ের স্থগিতাদেশ নিয়ে যা জানালেন আইনজীবী শিশির মনির নির্বাচন নিয়ে নতুন যে বিবৃতি দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার সরকার নির্বাচন নিয়ে চাপ দিলে পদত্যাগ করবো: সিইসি শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচার করলে তাৎক্ষণিক আইনি ব্যবস্থা: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং
  • শিক্ষায় বরাদ্দ বেড়েছে সাড়ে নয় হাজার কোটি টাকা

    নিজস্ব প্রতিবেদক

    ৯ জুন, ২০২২ ১১:৫০ অপরাহ্ন

    শিক্ষায় বরাদ্দ বেড়েছে সাড়ে নয় হাজার কোটি টাকা

    আগামী অর্থবছরে (২০২২-২৩) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন শিক্ষাখাতে টাকার অংকে মোট বরাদ্দ বাড়ছে। চলতি অর্থ বছরের তুলনায় আসন্ন অর্থ বছরে মোট ৯ হাজার ৪৯৫ কোটি টাকা বেশি বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। এই দুই মন্ত্রণালয়ের জন্য আসন্ন অর্থ বছরে মোট ৮১ হাজার ৪৪৯ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। যা চলতি বছরের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছিল ৭১ হাজার ৯৫৪ কোটি টাকা। চলতি শিক্ষা বাজেটের চেয়ে বরাদ্দ বেড়েছে ১৩ দশমিক ১৯ শতাংশ বেশি।

    বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০২২-২৩ অর্থ বছরের বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল শিক্ষাখাতে বরাদ্দের এই তথ্য উল্লেখ করেন।
    প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জন্য এবার ৩১ হাজার ৭৬১ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। যা চলতি অর্থ বছরের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছিল ২৬ হাজার ৩১৪ কোটি টাকা। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের জন্য ৩৯ হাজার ৯৬১ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। যা এ বছরের জন্য করা হয়েছিল ৩৬ হাজার ৪৮৭ কোটি টাকা। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের জন্য ৯ হাজার ৭২৭ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। যা চলতি অর্থ বছরে বরাদ্দ করা হয়েছিল ৯ হাজার ১৫৩ কোটি টাকা।


    বাজেট বক্তৃতায় অথর্মন্ত্রী বলেন, সরকার শিক্ষা খাতকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে জাতির পিতার স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ বিনির্মাণে কাজ করছে এবং শিক্ষাকে উন্নয়নের অন্যতম প্রধান কৌশল হিসেবে গ্রহণ করে এ খাতে সর্বাধিক গুরুত্বারোপ করে আসছে। রূপকল্প-২০২১ বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় রূপকল্প-২০৪১ লক্ষ্য অর্জনের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার হলো শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়ন। এ লক্ষ্য সামনে রেখে জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ প্রণয়ন করা হয়েছে এবং ধাপে ধাপে তা বাস্তবায়িত হচ্ছে।
    তিনি বলেন, বিজ্ঞানমুখী শিক্ষা কার্যক্রম বাস্তবায়ন ও শিক্ষার অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য আমরা নানা উদ্যোগ নিয়েছি। তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষা কার্যক্রমের আওতায় করোনাকালীন অনলাইনে শিক্ষা বিস্তারের পাশাপাশি মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে উপবৃত্তি প্রদান, বিভিন্ন প্রশিক্ষণের পরিধি বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে। পাশাপাশি শিক্ষা খাতে ব্যয়ের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও পরিবীক্ষণের দিকেও আমরা বিশেষ নজর দেব।


    অতিমারির ক্ষতি পোষাতে বিশেষ উদ্যোগ: প্রস্তাবিত বাজেটে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ক্ষতি পোষাতে কী কী উদ্যোগ নিয়েছে সরকার তা উল্লেখ করেছেন অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে ২০২০ সালের মার্চের প্রথম সপ্তাহ থেকে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হয়। তবে এ অতিমারির নেতিবাচক প্রভাব থেকে শিক্ষা খাতকে মুক্ত রেখে সার্বিকভাবে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করতে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে।


    জীবন সুরক্ষা নিশ্চিতে করোনাকালীন সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে বাধ্য হলেও অনলাইন এবং বাংলাদেশ টেলিভিশন, বেতার ও কমিউনিটি রেডিওর মাধ্যমে পাঠদান অব্যাহত রেখেছিল সরকার। বর্তমানে কোভিড-১৯ পরিস্থিতির ব্যাপক উন্নতি হওয়ায় সরকার ২০২২ সালের মার্চ থেকে পর্যায়ক্রমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহ খুলে দিয়েছে এবং সরাসরি পাঠদান কার্যক্রম শুরু করেছে। তবে, বিদ্যালয় পুনরায় খোলার পরও শিক্ষার্থীদের পাঠচর্চা ও পাঠে মনোযোগী রাখার লক্ষ্যে সংসদ বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার ও কমিউনিটি রেডিওর মাধ্যমে ‘ঘরে বসে শিখি’ পাঠদান কর্মসূচি স¤প্রচার চলমান রয়েছে। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণের জন্য শিক্ষকরা নিয়মিত তাদের সঙ্গে মোবাইল ফোন এবং ব্যক্তিগত যোগাযোগের মাধ্যমে পাঠদান কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন।


    বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের গুরুত্ব প্রদান: প্রস্তাবিত বাজেটে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের কথা আলাদাভাবে উল্লেখ করেছেন অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুসহ ধর্ম, বর্ণ, গোত্র নির্বিশেষে সমাজের সব শিশুর মূলধারার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে লেখাপড়া নিশ্চিতকল্পে একীভূত শিক্ষা কার্যক্রম চালু করেছি। মাঠপর্যায়ে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের প্রতিবন্ধিতা সহায়ক উপকরণ (হুইলচেয়ার, ক্র্যাচ, শ্রবণযন্ত্র, চশমা ইত্যাদি) ক্রয় ও বিতরণের জন্য আমরা প্রতিটি উপজেলা/থানায় চাহিদার ভিত্তিতে অর্থ বরাদ্দ প্রদান অব্যাহত রেখেছি।


     

     

     




    সাতদিনের সেরা খবর

    শিক্ষা - এর আরো খবর