ঢাকার ধামরাইয়ে ইসরাফিল (৩৫) নামের এক যুবককে খুঁটির সঙ্গে হাত-পা বেঁধে নির্যাতন চালিয়েছে বালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নতুন চেয়ারম্যান মজিবর রহমানের অনুসারীরা। আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গতকাল সোমবার বিকেলে ধামরাইয়ের বাস্তা চৌরাস্তা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মজিবর রহমানসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে। গুরুতর আহত ইসরাফিলকে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ নিয়ে ইউনিয়নের দুনীগ্রাম ও সূত্রাপুর গ্রামবাসীর মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
জানা গেছে, ধামরাই কৃষক লীগের সভাপতি ও বালিয়া ইউনিয়নের বিদায়ি চেয়ারম্যান আহম্মদ হোসেনের অনুসারী আব্দুল গণি ও ইসরাফিলের সঙ্গে ইউপি চেয়ারম্যান মজিবর রহমানের অনুসারীদের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এর জের ধরে আব্দুল গণি ও ইসরাফিল কয়েক মাস এলাকাছাড়া। সোমবার ইসরাফিল মোটরসাইকেলে করে বালিয়া ইউনিয়নের বাস্তা চৌরাস্তা এলাকায় যান। খবর পেয়ে চেয়ারম্যান মজিবরের অনুসারী আব্দুল মজিদসহ ১০ থেকে ১২ জন স্থানীয় মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে ইসরাফিলকে আটকের পর খুঁটির সঙ্গে হাত-পা বেঁধে ব্যাপক নির্যাতন করে।
ওই সময় দুনীগ্রাম ও সূত্রাপুর গ্রামবাসীর মধ্যে ধাওয়াধাওয়ির ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে চেয়ারম্যান মজিবর রহমান, আব্দুল মজিদ, আব্দুর রহমান, সামছুল হক, রাশেদা বেগম, নাছিমা বেগম, সূত্রাপুর জামে মসজিদের সভাপতি মজিবর রহমানকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যান।
উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি আহম্মদ হোসেন বলেন, ‘ইউপি নির্বাচনের আগে থেকেই মজিবর রহমান ও তাঁর লোকজন এলাকায় যে অত্যাচার-জুলুম শুরু করেছে, তা সভ্য দেশে চলে না। দোষীদের বিচার দাবি করছি।’
এ ব্যাপারে ধামরাই থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ওয়াহিদ পারভেজ বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে ওই ঘটনার পর থেকে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন সময় অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটনার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।