ফরিদপুরের বোয়ালমারীর কয়েকটি গ্রামে আজ পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করা হচ্ছে। সোমবার (২ মে) সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে ঈদ উদযাপন করছেন ওই এলাকার মুসলমানদের একটি অংশ। একদিন আগে যারা রোজা ও ঈদ উদযাপন করেন তারা সবাই চট্টগ্রামের মির্জাখিল শরীফের মুরিদান।
বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ও রুপাপাত ইউনিয়নের প্রায় ১৩টি গ্রামের মানুষ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে একদিন আগে পবিত্র রোজা পালন শুরু করেন। তাই একদিন আগেই ওই ১৩ গ্রামের লোকজন ঈদ উদযাপন করে থাকেন।
এ ব্যপারে বারাংকুলা পুরাতন বাজারের ব্যবসায়ী ও বারাংকুলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি শহিদুল ইসলাম বলেন, উপজেলার শেখর ও রুপাপাত ইউনিয়নের প্রায় ১৩টি গ্রামের মানুষ একদিন আগে সেহরি খাওয়ার মধ্য দিয়ে রমজান মাসের আনুষ্ঠানিকতা শুরু করেন। সে অনুযায়ী তারা একদিন আগে ঈদ পালন করছেন।
রাখালতলী গ্রামের বাসিন্দা ভ্যানচালক জাহাঙ্গীর শেখ ও ব্যবসায়ী জাকির হোসেন বলেন, আমাদের গ্রামে প্রায় পৌনে দুইশ পরিবার আছে। এর মধ্যে প্রায় শতাধিক পরিবারের মানুষ অগ্রীম ঈদ উদযাপন করছেন। রাখালতলী পুরাতন মসজিদের ইমাম জয়নাল ফকির ঈদের জামাতের ইমামতি করেন।
এ বিষয়ে বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবুল কালাম আজাদ জাগো নিউজকে বলেন, রূপাপাত ও শেখর ইউনিয়নের প্রায় ১৩টি গ্রামের আংশিক মানুষ সোমবার সকাল ৮টায় ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেন। দীর্ঘদিন যাবৎ তারা সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে রোজা ও দুইটি ঈদ উদযাপন করে আসছেন।
এ প্রসঙ্গে বোয়ালমারী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও বোয়ালমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এমএম মোশাররফ হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে আগাম রোজা ও দুই ঈদ পালন করে থাকেন। এ বছরও তারা অগ্রিম ঈদ উদযাপন করছেন।