ইউক্রেনের যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে সাংস্কৃতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ অন্তত ৫৩টি স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা ইউনেসকো। এগুলোর মধ্যে ২৯টি গির্জা, ১৬টি ঐতিহাসিক ভবন, চারটি জাদুঘর ও চারটি স্মৃতিস্তম্ভ রয়েছে।
ইউনেস্কো জানায়, ক্ষতিগ্রস্ত বেশ কয়েকটি স্থাপনার অবস্থান ইউক্রেনের দুই বৃহত্তম শহর কিয়েভ ও খারকিভে। আর চেরনিহিভের অন্যতম প্রাচীন একটি স্থাপনাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সংস্থাটির একজন মুখপাত্র বলেছেন, এটি সর্বশেষ তালিকা, কিন্তু পূর্ণাঙ্গ নয়। কারণ আমাদের বিশেষজ্ঞরা এ ধরনের অনেক প্রতিবেদন যাচাই করে দেখছেন। আন্তর্জাতিক একটি বার্তা সংস্থা তাকে উদ্বৃত করে এ খবর জানিয়েছে। ইউনেস্কো জানিয়েছে, কোন কোন স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তা যাচাই করার জন্য তারা কৃত্রিম উপগ্রহের মাধ্যমে পাওয়া ছবি ও প্রত্যক্ষদর্শীর প্রতিবেদন ব্যবহার করছে। এদিকে রুশ বাহিনী কর্তৃক দখলকৃত এলাকায় নিয়োজিত রুশপন্থি নেতাদের উদ্দেশে সতর্ক বার্তা উচ্চারণ করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
শনিবার এসব নেতাদের উদ্দেশে জেলেনস্কি বলেন, তারা বেশি দিন টিকবে না। নেতৃত্ব দখলের এই প্রচেষ্টা ‘খুবই দুর্বল এপ্রিল ফুল জোক’ উল্লেখ করে জেলেনস্কি বলেন, ‘তাদের প্রতি আমার বার্তা খুবই সাধারণ: বিশ্বাসঘাতক হওয়ার দায় অনিবার্য।’ অপরদিকে রাশিয়ার তেল ডিপোতে হামলায় ইউক্রেনই দায়ী বলে দাবি করেছে রাশিয়া। তারা বলেছেন, এ ধরনের কর্মকাণ্ড সামনে শান্তি প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করবে। রাশিয়ার বেলগোরোদ শহরের তেলের ডিপোতে আগুনের ঘটনায় ইউক্রেনকে দায়ী করে ক্রেমলিন বলেছে, দুটি ইউক্রেনীয় হেলিকপ্টার সেখানে হামলা চালিয়েছে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ এই হামলার জন্য ইউক্রেনকে দোষারোপ করেছেন।
তিনি বলেন, এতদিন পর্যন্ত কিয়েভের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় সামান্য অগ্রগতি হয়েছে। কিন্তু এখন এই ঘটনাকে আর আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য উপযোগী পরিবেশ তৈরিতে সহায়ক হিসাবে দেখা যায় না।
এ ব্যাপারে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, তারা রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষামূলক অভিযান চালাচ্ছে। তার মানে এই নয় যে, রাশিয়ার ভূখণ্ডে যে কোনো বিপর্যয়ের জন্য ইউক্রেনই দায়ী। তবে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলছেন, রাশিয়ার ভেতরে তেলের মজুতকে নিশানা করে ইউক্রেনের সামরিক হেলিকপ্টারের হামলার খবরে চলমান শান্তি প্রক্রিয়ার উপযোগী পরিবেশ বিনষ্ট হচ্ছে। রুশ কর্তৃপক্ষ তেলের ডিপো থেকে জ্বালানি সরবরাহ আবার চালু করার জন্য যথাসম্ভব সবকিছু করছে বলে জানান তিনি।