ভোলার চরফ্যাশনে পরিকল্পিতভাবে মার্সেল শোরুমের ম্যানেজারকে পিটিয়ে জখম করে নগদ ৪২ হাজার টাকা ও গলায় থাকা দশ আনা স্বর্ণের একটি চেইন নিয়ে যায় হামলাকারীরা।
জানা যায, চরফ্যাশন উপজেলা সদরের ফরাজী সুপার মার্কেটে অবস্থিত মের্সাস লালমোহন ইলেক্ট্রনিক্স নামের মার্সেল শোরুম থেকে ৪ বছর আগে একটি ২৪ ইঞ্চি এলইডি মার্সেল টিভি কিস্তিতে ক্রয় করে, একই উপজেলার জিন্নগর ইউনিয়নের কুতুবগঞ্জ গ্রামের মৃত নাসিরের ছেলে হামলাকারী লিটন। ৬মাসের কিস্তিতে টাকা পরিশোধ করার শর্তে এলইডি টিভি বিক্রি করেন শোরুম কতৃপক্ষ। কিন্তু ৬মাস তো দূরে থাক চার বছর হয়ে গেলও কিস্তি পরিশোধ না করায় শোরুম কর্তৃপক্ষ লিটনকে টাকার জন্য মুঠোফোনে কল দিলে লিটন অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও প্রান নাশের হুমকি দেন ম্যানেজার ফয়সালকে।
তারই সূত্র ধরে গত মঙ্গলবার (১৫ই মার্চ) রাত ৯:৩০ ঘটিকার সময় শোরুম বন্ধ করে আসার পথে ম্যানেজার ফয়সালকে লিটনসহ ১৫/২০ জনের একটি সংঘবদ্ধচক্র তার উপর অতর্কিত হামলা চালায় এবং দেশীয় লাঠিসোটা দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করে শোরুমের পশ্চিম পাশে শরিফ পাড়া ব্রীজের নিচে হত্যার উদ্দেশ্যে খালে পেলে দেয় লিটনের সঙ্ঘবদ্ধ বাহিনীরা এ সময় ফয়সালের সাথে থাকা শোরুমের নগদ ৪২ হাজার টাকা ও গলায় থাকা ১০ আনা স্বর্ণের একটি চেইন ছিনিয়ে নেন।
খালের মধ্যে পড়ে থাকা আহত ফয়সালকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে এবং মের্সাস লালমোহন ইলেক্ট্রনিক্সের মালিক পিংকি কে জানালে সে এসে স্থানীদের সহযোগিতায় তাকে চরফ্যাশন হাসপাতালে ভর্তি করেন।
ভুক্তভোগী ফয়সাল আজিম জানান, আমি লিটনকে কিস্তির বকেয়া টাকার জন্য কল দিলে সে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং প্রাণ নাশের হুমকি দেয়।ঘটনার দিন রাতে লিটন ও তার সংঘর্ষবদ্ধ বাহিনীদের নিয়ে আমি দোকান বন্ধ করে যাওয়ার সময় আমার পথরোধ করে লাটিচোটা,সাবাল, রড,লোহার চেয়ন দিয়ে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে আমার উপরে হামলা করে নগদ টাকা ও স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেন।
এই বিষয়ে আহত ফয়সালের ভাই হুমায়ূন কবির বাদী হয়ে চরফ্যাশন থানায় একটি মামলা দায়ের করেন যাহার নম্বর ১০। থানা পুলিশ মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।