গাংনী সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ের নকল নবীশ জিনাত রেহেনা ওরফে পাখি জং আবুল কালাম আজাদ ওরফে বুলবুল (দলিল লেখক) উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ২২/০২/১৮ তারিখে নিবন্ধিত ১৩৬১ নং দলিল বালামে নকল কাজ করার সময় নকশা/ম্যাপের পরিবর্তন ঘটায়। এতেই বেধে যায় বিপত্তি। এতদিন তা গোপন থাকলেও সম্প্রতি দলিলের নকল উঠাতে গেলে দেখা যায় ভেতরের জমি দেখানো হয়েছে একেবারে রাস্তার পাশে, যা মূল দলিলের সাথে মিলে না। রাস্তার পাশের জমিটি অন্য পক্ষের মালিকানায় এবং সেখানে তাদের দোতলা পাকা বাড়ি আছে।
মূল বিক্রেতা, রাস্তার পাশের জমির মালিক এবং ভেতরের জমির বর্তমান মালিকের মাঝে গাংনী উপজেলা চত্বরে বেধে যায় ব্যাপক গোলযোগ ও সংঘর্ষ। দলিল লেখক নান্নুকে খুজতে থাকে পক্ষগণ। তাদের রোষানল থেকে বাচতে নান্নু অফিসের ভেতর আশ্রয় নেয়। পরে সংশ্লিষ্ট একপক্ষ দলিলের জমির ম্যাপ বিকৃতির প্রতিকার চেয়ে অফিস প্রধানের নিকট আবেদন করলে থলের বেড়াল বের হয়ে আসে। প্রাথমিক তদন্তে ধরা পড়ে জিনাত রেহেনা পাখি। তাকে যথারীতি শোকজ করে তদন্তে নামে অফিস কর্তৃপক্ষ এবং তার জবাবে নকল নবীশ পাখি অপরাধ স্বীকার করে।
বালামের নকশা সংশোধন করনার্থে এবং বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা রেজিস্ট্রার বরাবর প্রতিবেদন, অভিযোগপত্র, জবাব প্রেরণ করা হয়েছে। এই ধরণের অপরাধে পদচ্যুতি সহ ৭ বছরের জেল খাটার নজির রয়েছে অন্যান্য অফিসে। এই ব্যাপারে নিয়ম আনুযায়ী পক্ষগণ গাংনী থানায় একটি জিডি লিপিবদ্ধ করেছে বলেও জানা গেছে।
অন্যদিকে জেলা রেজিস্ট্রার অফিসকে হাত করার নিরন্তর চেষ্টায় নেমেছে জিনাত রেহেনার স্বামী দলিল লেখক বুলবুল। এই বিষয়ে দলিল লেখক নান্নু বলেন, "আমাকে পক্ষগণ মারতে আসে, আমি পালিয়ে বাচি। আজ নকল নবীশ পাখির অপরাধের খেসারত আমাকে দিতে হচ্ছে। মুখ না খোলার জন্য তার স্বামী ভয়ভীতি দেখাচ্ছে।"