ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেছেন, দেশে ধর্মীয় সম্প্রতি সুসংহত করা ও বিভিন্ন সামাজিক সমস্যা মোকাবিলায় মসজিদের সন্মানিত খতিব, ইমাম ও ওলামায়ে কেরামের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দেশে ধর্মীয় উন্মাদনা তৈরি করে কেউ যেন কোনভাবে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে না পারে- এ বিষয় ধর্মীয় ও সামাজিক নেতা হিসেবে ইমাম ও খতিবদের সজাগ ও সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী আজ (৯ মার্চ) সকালে ইসলামপুর উপজেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে ইসলামিক ফাউণ্ডেশন, ইসলামপুর (জামালপুর) আয়োজিত ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমির অর্থায়নে ২০২১- ২০২২ অর্থ বছরে উপজেলা পর্যায়ে ইমাম, খতিব ও আলেম- ওলামাদের নিয়ে " সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ এবং সামাজিক সমস্যা নিরসন" শীর্ষক মতবিনিমিয় সভা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ইমামগণের ইমাম সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতা এসব কথা বলেন
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সমাজে খতিব, ইমাম ও ওলামায়ে কেরামের গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান বিবেচনায় নিয়ে সরকার তঁাদেরকে দেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন কার্যক্রমে যুক্ত করছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, মহানবী (সা.) মদিনাবাসী বিভিন্ন জাতি-গোষ্ঠীর যৌথ সম্মতিতে সম্পাদিত চুক্তি তথা মদিনা সনদের মাধ্যমে মদিনা রাস্ট্র পরিচালনা করে পৃথিবীতে অসাম্প্রদায়িক রাস্ট্রের আদর্শ স্থাপন করে গেছেন।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, জাতিরপিতার নেতৃত্বে ত্রিশ শহীদ ও দুই লক্ষ মা- বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ। আমাদের পবিত্র সংবিধান দেশের সকল ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মানুষকে স্বাধীনভাবে নিজ নিজ ধর্ম পালনের অধিকার প্রদান করেছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, কেউ কেউ ধর্মের নামে রাজনীতি করলেও আওয়ামী লীগ সরকারই এদেশে ইসলামের খেদমতে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইসলামের সঠিক আদর্শ ও শিক্ষার প্রচার ও প্রসারে জাতির পিতাই এদেশে ইসলামিক ফাউণ্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তিনি বিশ্ব এজতেমার জন্য তুরাগ তীরে জায়গা বরাদ্দ প্রদান সহ ইসলামের খেদমত ও মুসলিম উম্মার কল্যাণে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে গেছেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতিরপিতার আদর্শ ও নীতি অনুসরণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইসলামের খেদমতে ইতোমধ্যে অসামান্য অবদান রেখেছেন। তিনি প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে দেশে ৫৬০ টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ করছেন। ইমাম মুয়াজ্জিন কল্যাণ ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠা সহ লক্ষ লক্ষ আলেমের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছেন।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন স্বল্পোন্নত দেশের পর্যায় হতে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছে। সমাজের অস্বচ্ছল ও নিম্ন আয়ের মানুষকে বিভিন্ন ভাতার আওতায় এনে সরকার বহুবিধ সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।
ইসলামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মু. তানভীর হাসান রুমান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন জামালপুরের পুলিশ সুপার নাছির উদ্দিন আহমেদ, ইসলামপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট এসএম জামাল আব্দুন নাছের বাবুল, ইসলামিক ফাউণ্ডেশন জামালপুর কার্যালয়ের উপপরিচালক মোঃ আব্দুর রাজ্জাক, ইসলামপুর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক আকন্দ, ইসলামপুর এম এ ছামাদ পারভেজ মেমোরিয়াল মহিলা ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জামাল আব্দুন নাছের চার্লেস চৌধুরী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ইসলামপুর উপজেলা শাখা সাবেক সহ-সভাপতি মুজিবুর রহমান শাহজাহান, বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাদাত হোসেন স্বাধীন প্রমুখ।