শিরোনাম
  • ফের যে আসন থেকে নির্বাচনের সম্ভাবনা রয়েছে খালেদা জিয়ার আন্তর্জাতিক ফুটবলে যে সমস্যার মুখোমুখি হতে যাচ্ছে ইসরায়েল কে এই নতুন মেসি-ইয়ামাল? ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শনে গিয়ে যা বললেন ড. মুহাম্মদ ইউনুস সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন কাঠামোতে যে নতুন নির্দেশনা দিলেন প্রধান উপদেষ্টা আলুর দাম নিয়ে যে দুঃসংবাদ শোনালেন বাণিজ্য উপদেষ্টা হাইকোর্টের রায়ের স্থগিতাদেশ নিয়ে যা জানালেন আইনজীবী শিশির মনির নির্বাচন নিয়ে নতুন যে বিবৃতি দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার সরকার নির্বাচন নিয়ে চাপ দিলে পদত্যাগ করবো: সিইসি শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচার করলে তাৎক্ষণিক আইনি ব্যবস্থা: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং
  • ৫ সফল নারীকে জয়িতা পদক প্রদান করলেন শিক্ষামন্ত্রী

    নিজস্ব প্রতিবেদক

    ৯ মার্চ, ২০২২ ০৬:৪৪ পূর্বাহ্ন

    ৫ সফল নারীকে জয়িতা পদক প্রদান করলেন শিক্ষামন্ত্রী
    ৫ সফল নারীকে জয়িতা পদক প্রদান করলেন শিক্ষামন্ত্রী

    নারী উন্নয়নে এখন সারাবিশ্বে বাংলাদেশ রোল মডেল বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি। তিনি বলেছেন, সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ ৫০ ভাগে উন্নীত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। উন্নয়নের এই অগ্রযাত্রা যেন থেমে না যায় তাই কোভিড-১৯ মহামারীর প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে ছিল সময়োচিত,  সমন্বিত বহুমুখী উদ্যোগ। গত ২৮ বছরে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরে মেয়েদের পাসের হার আড়াই গুণ বেড়েছে বলেও জানান শিক্ষামন্ত্রী।
    তিনি মঙ্গলবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়নে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত আন্তর্জাতিক নারী দিবসের অনুষ্ঠনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে  এ কথা বলেন।


    অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউএন উইমেন-এর বাংলাদেশ প্রতিনিধি গিতাঞ্জলি সিং। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মহিলা বিষয়ক অধিদফতরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ফরিদা পারভিন।  


    শিক্ষায় নারীর অগ্রগতি প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, ১৯৯০ সালে ৩০ শতাংশ মেয়ে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষায় পাস করেছিল। ২০১৯ সালে পাস করেছে ৮৩ শতাংশের বেশি মেয়ে। ১৯৯০ সালে উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষায় পাস করেছিল ৩১ শতাংশ মেয়ে।  আর ২০১৯ সালে পাস করেছে প্রায় ৭৫ শতাংশ মেয়ে।  


    তিনি বলেন, ব্যানবেইসের ২০১৯ সালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ এডুকেশন স্ট্যাটিসটিকস ২০২০ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী মাধ্যমিকে পর্যায়ে মোট শিক্ষার্থী ৫৫ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ নারী। উচ্চমাধ্যমিকে  ৫০ দশমিক ২৭ এবং বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ৩৫ দশমিক ২১ শতাংশ শিক্ষার্থী মেয়ে।  আর মাদ্রাসা শিক্ষা পর্যায়ে মোট ৫৫ দশমিক ২৫ শতাংশ শিক্ষার্থী নারী।


    অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট হতে স্নাতক ও সমমান পর্যায়ে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ৭৫ শতাংশ নারী শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি দেওয়া হয়।  প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের মাধ্যমে ২০১২-১৩ থেকে ২০২০-২১ অর্থবছর পর্যন্ত স্নাতক ও সমমান পর্যায়ে ৯ লাখ ৭১ হাজার, ৮৭৩ জন নারী শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তি বাবদ ৪৭৬ কোটি ২১ লাখ ৭৭ হাজার ৭০০ টাকা বিতরণ করা হয়।


    শিক্ষামন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারি মোকাবিলায় ও অর্থনীতিকে সচল রাখতে বিভিন্ন সময়ে  ২৮টি প্রণোদনা প্যাকেজের মাধ্যমে প্রায় ১ হাজার ৪৬০ কোটি মার্কিন ডলার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।  করোনার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত নারীদের আর্থিক সাহায্য ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য বঙ্গ মাতার ৯১তম জন্মবার্ষিকীতে ৬৪জেলায় দুঃস্থ নারীদের মাঝে ৪ হাজার সেলাই মেশিন ও ২ হাজার জন দুঃস্থ ও অসহায় নারীদের মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে ২ হাজার টাকা করে মোট চল্লিশ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে।  গত বছর মহামারীর প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকে প্রায় ৪ কোটি মানুষকে নগদ অর্থসহ অন্যান্য সহায়তা দেয়া হয়েছে।
    দীপু মনি বলেন, কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ বাড়াতে চায় সরকার। এজন্য বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ ৫০ ভাগে উন্নীত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।


    তিনি বলেন, কন্যা শিশুর শিক্ষা, বাল্যবিয়ে নির্মূলসহ নারীর প্রতি যে কোনো ধরনের বৈষম্য নিরসনের আইন প্রণয়ন ও আইনের কঠোর প্রয়োগ করতে সরকার বদ্ধপরিকর।
    দীপু মনি বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছরে বাংলাদেশের অন্যতম অর্জন লিঙ্গবৈষম্য কমিয়ে নারীর ক্ষমতায়নের পথে এগিয়ে থাকার উল্লেখযোগ্য সাফল্য লাভ। এ বিষয়ে বাংলাদেশের স্থান দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সবার ওপরে। কয়েকটি ক্ষেত্রে বিশ্বের সব দেশের ওপরে বাংলাদেশের স্থান।


    মন্ত্রী বলেন, আশা করি ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশের কাতারে থাকবে বাংলাদেশ। খাদ্য নিরাপত্তা, নিরাপদ পানি, জলবায়ু পরিবর্তন, টেকসই পরিবেশ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য দীর্ঘমেয়দি পরিকল্পনা ‘ডেল্টা প্ল্যান-২১০০’ গ্রহণ করা হয়েছে। সেদিন বেশি দূরে নয়, যেদিন বিশ্বের সব উন্নত দেশগুলোর সঙ্গে উড়বে বাংলাদেশের লাল-সবুজের পতাকা।
    উল্লেখ্য, এবছর আন্তর্জাতিক নারী দিবসের প্রতিপাদ্য ছিল- ‘টেকসই আগামীর জন্য, জেন্ডার সমতাই আজ অগ্রগণ্য’।


    মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন বিষয়ে সাফল্য অর্জনকারী শ্রেষ্ঠ ৫ জন নারীকে ‘জয়িতা পদক-২০২২’ প্রদান করা হয়। পদক, ক্রেস্ট ও টাকার চেক তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।


    সম্মাননা প্রাপ্ত ৫ জন জয়িতা হলেন- অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী রাজশাহী বিভাগের সিরাজগঞ্জ জেলার মোসা: সানজিদা আক্তার শিমু; শিক্ষা ও চাকরি ক্ষেত্রে রাজশাহী বিভাগের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. হোসনে আরা আরজু; সফল জননী হিসেবে চট্রগ্রাম বিভাগের খোশনাহার বেগম; নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করার ক্ষেত্রে বরিশাল বিভাগের জেসমিন আক্তার ও সমাজ উন্নয়নে অবদান রাখায় জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ জয়িতা হয়েছেন রংপুর বিভাগের মোছাঃ রোকেয়া বেগম।

     




    সাফল্য - এর আরো খবর

    এআইপি পেয়ে অভিভূত সম্মাননাপ্রাপ্ত ২২জন

    এআইপি পেয়ে অভিভূত সম্মাননাপ্রাপ্ত ২২জন

    ৯ মার্চ, ২০২২ ০৬:৪৪ পূর্বাহ্ন