বাগেরহাটের কচুয়ায় নবম শ্রেণি পড়ুয়া এক স্কুলছাত্রীকে অস্ত্রের মুখে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ঘরে ঢুকে ওই ছাত্রীর ওপর পাশবিক নির্যাতন চালানো হয়। অসুস্থ অবস্থায় ওই মেয়েটিকে শুক্রবার জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মেয়েটির পরিবারের অভিযোগ, প্রতিবেশী চারজন তাদের বাড়িতে প্রবেশ করে এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
গলায় ছুরি ও মুখ চেপে ধরে দুজন নির্যাতন চালায় এবং বাকি দুজন পাশের ঘরের দরজায় অপেক্ষা করছিল। অভিযুক্তরা হলেন সোহেল শেখ, ইজাজুল মোল্লা, সজিব মোল্লা ও টিপু শেখ।
ভুক্তভোগী জানায়, গত বৃহস্পতিবার রাতে বাড়িতে সে একা ছিল। তার মা-বাবা খুলনায় অবস্থান করছিলেন। রাত ১২টার দিকে চার যুবক তাদের বাড়িতে আসে। অভিযুক্ত সজিব তাকে বিভিন্ন সময় উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন। কয়েক মাস আগে তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। সেই প্রস্তাব নাকচ করায় ক্ষিপ্ত হন সজিব।
বাগেরহাট সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মঞ্জুরুল ইসলাম জানান, মেয়েটিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
সদর হাসপাতালের গাইনি বিভাগের সিনিয়র স্টাফ নার্স তুলসী রানী বিশ্বাস জানান, বিভিন্ন স্থানে কামড় এবং আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধর্ষণের শিকার মেয়েটি খুব অসুস্থ হয়ে পড়েছে।
মেয়েটির বাবা দিনমজুর। মেয়েটির মা জানান, প্রতিবেশী ওই যুবকরা অনেক আগে থেকে তাঁদের নানাভাবে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছিলেন।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান হাসপাতালে মেয়েটিকে গতকাল দেখতে যান। এ সময় তিনি অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেপ্তারের আশ্বাস দেন।