আগামী ঙ্গলবার জাতীয় সংসদের সামনে আয়োজিত ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠ অনুষ্ঠানে দেশজুড়ে ছাত্র-জনতার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে বিশেষ ট্রেন ভাড়া করেছে সরকার। ১৬টি বিশেষ ট্রেনে মঙ্গলবার দুপুরের মধ্যে অংশগ্রহণকারীরা রাজধানীতে পৌঁছাবেন। অনুষ্ঠান শেষে একই ট্রেনে নিজ নিজ এলাকায় ফিরে যাবেন। পুরো ব্যবস্থার জন্য প্রাথমিকভাবে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৩০ লাখ ৪৬ হাজার টাকা, যা বহন করবে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
জুলাই গণঅভ্যুত্থান অধিদপ্তরের আবেদনের পর আজ রোববার রেলপথ মন্ত্রণালয়কে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেয় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। চিঠি পাওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই রেলওয়ে ট্রেনগুলোর রুট, সময় ও আসন সংখ্যা নির্ধারণ করে প্রস্তুতি সম্পন্ন করে। বাংলাদেশ রেলওয়ে সূত্র বিষয়টি জাগো কণ্ঠকে নিশ্চিত করেছে।
নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী, দূরবর্তী জেলা যেমন– রংপুর, চট্টগ্রাম, সিলেট ও রাজশাহী থেকে ট্রেনগুলো ছাড়বে ৪ আগস্ট রাতে ও ৫ আগস্ট ভোরে। আর ঢাকার আশপাশের জেলা গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী ও ফরিদপুর থেকে ট্রেন ছাড়বে অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে। অনুষ্ঠান শেষেই রাত ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে ট্রেনগুলো গন্তব্যে ফিরতি যাত্রা শুরু করবে।
এর আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলও বড় কর্মসূচিতে অংশ নিতে একইভাবে ট্রেন ভাড়া করেছে। আজ ছাত্রদলের শাহবাগের ছাত্র সমাবেশে অংশ নিতে চট্টগ্রাম থেকে ২০ কোচের একটি বিশেষ ট্রেন ভাড়ায় আনা হয়। এর আগে জামায়াতে ইসলামীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ উপলক্ষ্যে চারটি রুটে বিশেষ ট্রেন চালানো হয়েছিল, যার ভাড়া ছিল প্রায় ৩২ লাখ টাকা।
রেলপথ কর্তৃপক্ষ বলছেন, নিয়ম অনুযায়ী ট্রেন ভাড়া দেওয়া হচ্ছে।সরকার অর্থ পরিশোধ করছে, এটাই মূল বিষয়।