‘দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ’ গড়া জামায়াতে ইসলামীর আগামী নির্বাচনের অন্যতম প্রধান এজেন্ডা হবে বলে জানিয়েছেন দলটির নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের।
সোমবার (২৮ জুলাই) সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা চাই দুদক সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত হোক, যেন কোনো রাজনৈতিক দল নিজেদের স্বার্থে আইন পরিবর্তন করতে না পারে। জাতীয় স্বার্থে সংবিধান সংশোধনের দরকার হলে সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে।
ডা. তাহের বলেন, দুদক শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে কোনো ধরনের কার্পণ্য বা ফাঁক থাকুক, আমরা তা চাই না। আমরা খুবই দৃঢ় এবং প্রায় চার-তৃতীয়াংশ পার্টিও সংস্থাটিকে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করার ব্যাপারে একমত। যারা সংবিধানের অন্তর্ভুক্ত করতে চাননি তাদের একটা আর্গুমেন্ট হচ্ছে, সংবিধানে যদি এটি (দুদক) অন্তর্ভুক্ত হয়, তাহলে প্রয়োজনে কোনো পরিবর্তন করা সহজ হবে না।
‘আমরা বলেছি, এ কারণেই তো আমরা সংবিধানের ভেতরে চাই। যে যুক্তিতে আপনারা আইন করে এটি করতে চান, এক যুক্তিতে আমরা এটি সংবিধানে পাঠাতে চাই। কারণ, শুধু আইন করলে মেজরিটি সরকার সকাল-বিকাল আইন পরিবর্তন করতে পারে। আওয়ামী লীগ করেছে।’
তিনি বলেন, আমরা চাই না, কোনো একটি দলের প্রয়োজনে দুদকের আইন পরিবর্তন হোক। যদি জাতির প্রয়োজনে হয় তাহলে তো সরকারি দল, বিরোধী দল সবাই একমত হয়ে যাবে। তখন সংশোধন করার আর কোনো অসুবিধা হবে না। সেজন্য পরিবর্তনের সুযোগটি আমরা তখনই রাখতে চাই, যেটি দেশের স্বার্থে ও জাতীয় স্বার্থ হবে। দলের স্বার্থে দুদুকের আইন পরিবর্তনের আমরা বিরোধী।