শিরোনাম
  • ফের যে আসন থেকে নির্বাচনের সম্ভাবনা রয়েছে খালেদা জিয়ার আন্তর্জাতিক ফুটবলে যে সমস্যার মুখোমুখি হতে যাচ্ছে ইসরায়েল কে এই নতুন মেসি-ইয়ামাল? ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শনে গিয়ে যা বললেন ড. মুহাম্মদ ইউনুস সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন কাঠামোতে যে নতুন নির্দেশনা দিলেন প্রধান উপদেষ্টা আলুর দাম নিয়ে যে দুঃসংবাদ শোনালেন বাণিজ্য উপদেষ্টা হাইকোর্টের রায়ের স্থগিতাদেশ নিয়ে যা জানালেন আইনজীবী শিশির মনির নির্বাচন নিয়ে নতুন যে বিবৃতি দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার সরকার নির্বাচন নিয়ে চাপ দিলে পদত্যাগ করবো: সিইসি শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচার করলে তাৎক্ষণিক আইনি ব্যবস্থা: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং
  • মাছের প্রজননে সময় না দিয়ে মানুষ দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিচ্ছে : মৎস্য উপদেষ্টা

    নিজস্ব প্রতিবেদক

    ২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১০:৫৭ অপরাহ্ন

    মাছের প্রজননে সময় না দিয়ে মানুষ দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিচ্ছে : মৎস্য উপদেষ্টা

    মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, প্রকৃতির বিরুদ্ধাচারণ করে মাছের প্রজননের জন্য নির্দিষ্ট সময় না দিয়ে মানুষ ভোক্তা ও আহরণকারী হিসেবে অত্যন্ত দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিচ্ছে।

    শনিবার সকালে সিলেট নগরীর সুবিদবাজারস্থ খাঁন প্যালেস কনভেনশন হলে ‘হাওরে মৎস্যসম্পদ রক্ষায় স্টেকহোল্ডারস কনসাল্টেশন ওয়ার্কশপ’ এ প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।  

    মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, হাওরে মাছের গতিপথে অপরিকল্পিত বাঁধ দিয়ে ও রাস্তা নির্মাণ করে মাছের বিচরণ ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করা হয়েছে। নিষিদ্ধ জাল দিয়ে মাছ ধরে দেশীয় প্রজাতিগুলোকে ধ্বংস করা হয়েছে। 

    তিনি বলেন, অতি মুনাফাকারীরা ব্যবসার নামে মাছের ক্ষতি করেছে। এ জন্য প্রকৃত মৎস্যজীবীদের স্বার্থ সংরক্ষণে দেশীয় প্রজাতির মাছ সংরক্ষণ করা অত্যন্ত দরকার। মাছ ধরা পেশাকে আধুনিকায়ন করতে হবে, যাতে তারা সম্মানের সাথে বাঁচতে পারেন।

    মাছের প্রজননকালীন মাছ ধরা নিষিদ্ধের বিষয়ে হাওর অঞ্চলে বিলবোর্ড ও রেডিও-টেলিভিশনে এ সংক্রান্ত প্রচারণা চালানো যেতে পারে উল্লেখ করে ফরিদা আখতার বলেন, হাওর অঞ্চলে মাছ ধরা নিষিদ্ধের পাশাপাশি পর্যটনও এ সময়ে নিষিদ্ধ করতে হবে। 

    অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, হাওরে মৎস্যসম্পদ রক্ষায় ‘হাওর ম্যনেজমেন্ট এ্যাকশন প্ল্যান’ করে মা মাছ রক্ষা এবং মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি করা সম্ভব। তারা হাওরে সঠিক ব্যবস্থাপনার জন্য মৎস্যজীবীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে আরও সচেতনতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন। ইজারাভিত্তিক ব্যবস্থাপনার পরিবর্তে মৎস্যজীবীদের দ্বারা হাওর ব্যবস্থাপনা এবং মৎস্যজীবীদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তারা আহ্বান জানান। 

    উন্মুক্ত আলোচনায় সিলেট বিভাগের সাত জেলার মৎস্যজীবী প্রতিনিধিরা বলেন, মাছের প্রজনন সমস্যা হচ্ছে। অনেক প্রজাতি বিলুপ্তি হয়েছে। আরও প্রজাতি বিলুপ্তির পথে। ফসল রক্ষায় বাঁধের কারণে মাছের প্রজনন ব্যাহত হচ্ছে। অধিক কীটনাশক ব্যবহার, হাওরের ইজারা প্রথা, সেচ দিয়ে মাছ শিকারসহ বিভিন্ন কারণে হাওরের মাছ হারিয়ে যাচ্ছে। মাছ ডিম কম দিচ্ছে ও সব ডিম থেকে বাচ্চাও ফুটছে না। 

    বিভিন্ন জাল দিয়ে মৎস্য শিকার করা হচ্ছে। এ অবস্থা থেকে রক্ষা পেতে তারা বিলগুলো খনন, জাল নিষিদ্ধ, ফসলী জমিতে মাত্রাতিরক্ত কীটনাশক ব্যবহার কমানোর ওপর জোর দিয়েছেন মৎস্যজীবীরা। 

    তারা আষাঢ়-জৈষ্ঠ্য মাসে মা মাছ ধরা নিষেধের ওপর গুরুত্বারোপ করে নিষিদ্ধকালীন মৎস্যজীবীদের সরকারি সহায়তা দেয়ার আহ্বান জানান ।

    মৎস্য অধিদপ্তর সিলেট বিভাগ আয়োজিত-মৎস্য ও  প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ টি এম মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার আবু আহমদ ছিদ্দীকী, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সৈয়দা নওয়ারা জাহান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

    উল্লেখ্য, দেশের উত্তর-পূর্বাংশে ৭টি জেলার ৪৭টি উপজেলা নিয়ে হাওরাঞ্চল গঠিত। এর মধ্যে সুনামগঞ্জে ৯৫, সিলেটে ১০৫, হবিগঞ্জে ১৪, মৌলভীবাজারে ৩, নেত্রকোণায় ৫২, কিশোরগঞ্জে ৯৭ এবং ব্রাক্ষণবাড়িয়ায় ৭টি মিলে মোট ৩৭৩ টি হাওর রয়েছে।




    সাতদিনের সেরা খবর

    জাতীয় - এর আরো খবর

    তিন মন্ত্রণালয়ে সচিবের দায়িত্বে রদবদল

    তিন মন্ত্রণালয়ে সচিবের দায়িত্বে রদবদল

    ২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১০:৫৭ অপরাহ্ন

    অবশেষে সচিব পেল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়

    অবশেষে সচিব পেল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়

    ২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১০:৫৭ অপরাহ্ন